1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অধিনায়ককেই কেন ছেঁটে ফেললো পাঁচটি আইপিএল টিম?

১ নভেম্বর ২০২৪

বৃহস্পতিবার ছিল আইপিএল টিমগুলির কাছে রিটেনশন লিস্ট দেয়ার শেষদিন। সেখানেই দেখা গেল এই চমক।

https://p.dw.com/p/4mTMG
২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেকেআর ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস।
১০ বছর পর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকেই রাখলো না কেকেআর। ছবি: Mahesh Kumar A./AP/picture alliance

যার নেতৃত্বে গতবার আইপিএল জিতলো কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেই শ্রেয়স আইয়ারকেই ছেঁটে ফেললো তারা। সচরাচর কোনো জয়ী দল পরের মরসুমে নিজের অধিনায়ককে ছেঁটে ফেলে না। কিন্তু শাহরুখ খানের দল সেই পথে হাঁটলো।

তবে শুধু শাহরুখ খানের দল নয়, আইপিএলের দশটি দলের মধ্যে পাঁচটি দল তাদের অধিনায়ককে আপাতত টিম থেকে ছেঁটে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে লখনউ সুপার জায়েন্টসও। লখনউ যে কে এল রাহুলকে ছেঁটে ফেলবে সেটা তাও প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, গতবার কয়েকটি হারের পর দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যেভাবে কে এল রাহুলকে উত্তেজিতভাবে 'বকাঝকা' করেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।

কিন্তু শুধু তো কলকাতা বা লখনউ নয়, দিল্লি ছেঁটে ফেলেছে ঋষভ পন্থকে, বেঙ্গালুরু ফ্যাফ ডুপ্লেসিকে, পাঞ্জাব শিখর ধাওয়ানকে।

শিখর ধাওয়ানকে পাঞ্জাব কিংস যে নিলামে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো, সেটাও বোঝা যাচ্ছে। তিনি গতবার দলের ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি। তিনি এখন ভারতের টেস্ট, একদিনের ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি কোনো দলেই জায়গা পান না।  পাঞ্জাবের হয়ে তিনি গতবার আহামরি কিছু করতে পারেননি।

দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বেঙ্গালুরুর ফ্যাফ ডুপ্লেসিও। অতীতেএই মারকুটে প্লেয়ার প্রচুর ম্যাচে ভালো খেলেছেন। কিন্তু গতবার পারেননি। আইপিএলের জগতও খুব নিষ্ঠুর। দলগুলির ম্যানেজমেন্ট 'পারফর্ম অর পেরিশ' নীতিতে বিশ্বাস করে। 

তবে দিল্লির ঋষভ পন্থ ও কলকাতার শ্রেয়স আইয়ারকে ছেঁটে দেয়া নিয়ে এখন সমাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই দিল্লি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলেছে। তারপর তারা আবার পন্থকে না রেখে চমক দিলো।

এখন থেকেই এই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, আসন্ন নিলামে ঋষভ পন্থ, কে এল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ারকে কিনতে কত দর হাঁকবে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।

কারা থাকলেন?

কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআর এবার রিঙ্কু সিং-কে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে রেখেছে। রিঙ্কু পেয়েছেন ১৩ কোটি টাকা। সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেল পাচ্ছেন ১২ কোটি, রমনদীপ ও হর্ষল রানা পাচ্ছেন চার কোটি টাকা করে। মিচেল স্টার্ককেও ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর

কেকেআরের ক্ষেত্রে চমক অবশ্যই রিঙ্কু সিং-কে সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে রাখা। ২০১৮ সালে ৫৫ লাখ টাকায় কেকেআরে খেলতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি ম্যানের ছেলে রিঙ্কু। আইপিএলে ৪৬টি ম্যাচে ৮৯৩ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৪৩-এরও বেশি। রিঙ্কু সামাজিক মাধ্যমে শাহরুখের ডায়লগ উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ''হামারি প্রেম কাহানি অভি শ্রেফ শুরু হুই হ্যায়, পিকচার আভি বাকি হ্যায়।'' তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়েছে, রিঙ্কুকেই কি অOfনায়ক করতে চলেছে কেকেআর।

চেন্নাই ধোনিকে টিমে রেখেছে। ধোনির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে চেন্নাই টিম। তাকে চার কোটি টাকা দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া আছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়(১৮ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা(১৮ কোটি), শিবম দুবে(১২ কোটি) পাথিরানা(১৩ কোটি)।

মুম্বই ইন্ডিয়ানস তাদের গতবারের পাঁচ প্রধান ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া ও সূর্যকুমার পেয়েছেন ১৬ কোটি ৩৫ লাখ, রোহিত শর্মা ১৬ কোটি ৩০ লাখ, শিবম দুবে আট কোটি এবং যশপ্রীত বুমরাহ পেয়েছেন ১৮ কোটি টাকা।

এরপর রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, তিনি খুশি। তিনি দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এখন যারা দেশের হয়ে খেলছে, তাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। তারপরও দল যে এভাবে তাকে রেখেছে, সেজন্য তিনি খুশি।

পাঞ্জাব মাত্র দুইজনকে রেখেছে। শশাঙ্ক সিং-কে সাড়ে পাঁচ কোটি ও প্রভাসিমরন সিং-কে চার কোটি টাকা দিয়ে। আকাশদীপ-সহ সবাইকে তারা ছেড়ে দিয়েছে।

আইপিএলে প্রতিটি টিম ১২০ কোটি টাকা দিয়ে প্লেয়ার কিনতে পারে। সেক্ষেত্রে পাঞ্জাবের হাতে নিলাম থেকে প্লেয়ার কেনার জন্য সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি টাকা থাকছে। সবচেয়ে কম থাকছে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের হাতে। তারা ৪৫ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নিলামে য়াবে।

বেঙ্গালুরু বিরাট কোহলিকে ২১ কোটি, রজত পাটিদারকে ১১ কোটি ও যশ দয়ালকে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে। গুজরাট টাইটানস রশিদ খানকে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে। রাজস্থান রয়্যালসে একই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন সঞ্জু স্যামসন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে হেনসি ক্লাসেন পাচ্ছেন ২৩ কোটি। তিনিই হলেন এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দামি ক্রিকেটার। নিকোলাস পুরানকে ২১ কোটি টাকা দিয়ে রাখছে হায়দরাবাদ সানরাইজার্স।

আপাতত রিটেনশন পর্ব শেষ। নভেম্বরের শেষের দিকে আইপিএলের নিলামের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেখানেই টিক হবে ক্রিকেটারদের কত টাকা দিয়ে কিনছে কোন দল।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)