অস্ট্রেলিয়া
২৯ অক্টোবর ২০১২বিশ্বে একদিকে যেমন বহু ক্ষুধার্ত মানুষ না খেয়ে থাকে, অন্যদিকে কিছু মানুষ খেয়ে খেয়ে কেবল মোটা হয়ে চলেছে৷ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে এই মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়৷ অস্ট্রেলিয়াতে গত কয়েক বছর ধরেই অতিরিক্ত মোটা বা ওবিস মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে দেশটিতে শতকরা ৬৩.৪ ভাগ মানুষ অতিরিক্ত মোটা৷ গত চার বছরে শতকরা দুই ভাগ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স-এর কর্মকর্তা পল জেল্ফস৷
তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশই এখন অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছে৷ তিনি আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ান হেল্থ সার্ভে থেকে সাড়ে ৩৩ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়৷ এতে দেখা যায় ৭০.৩ ভাগ পুরুষ আর ৫৬.২ ভাগ নারী ওবিসিটিতে ভুগছেন৷ আর বাচ্চাদের শতকরা ২৫ ভাগ ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে বাচ্চাদের বাকি অংশের অনেকেই ভবিষ্যতে অতিরিক্ত মোটাদের দলে নাম লেখাবে৷
অথচ পরিস্থিতি এমন হওয়ার কথা ছিল না৷ কারণ অতিরিক্ত মোটা হওয়ার পেছনে যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ধুমপান আর মদ্যপান৷ অস্ট্রেলিয়াতে এই দুটির ওপরই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ গত চার বছরে ধুমপায়ীর সংখ্যা তিন শতাংশ কমে এসেছে৷ এখন এই হার শতকরা ১৬ ভাগের কিছু বেশি৷ এছাড়া প্রতিদিন দুইবার অ্যালকোহল পান করেন এমন লোকের সংখ্যাও প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে গত দুই বছরে৷ তারপরও অস্ট্রেলীয়রা মোটা হয়েই চলেছে৷ সরকার এখন ভাবছে কিভাবে এই ওবিসিটির সমস্যা দূর করা যায়৷ কারণ দেশের দুই তৃতীয়াংশই যদি অতিরিক্ত মোটা হয়ে থাকে তাহলে সেখানে হাল্কা পাতলা মানুষ দেখতে হলে রীতিমত খুঁজে বের করতে হবে৷
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে অতিরিক্ত মোটা জনসংখ্যার তালিকায় অস্ট্রেলিয়া বর্তমান পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে৷ ওবিসিটির শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তার পরে মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড এবং চিলি৷
আরআই/ডিজি (এএফপি)