একুশে অগাস্ট
২৮ মার্চ ২০১২
একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শুরু হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিশেষ ট্রাইবুনালে৷ এই মামলায় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমানসহ ২২ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল৷ এবং আদালত ৬১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছিলেন৷
এরপর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলে মামলার অধিকতর তদন্তে আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়৷ ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন বুধবার নতুন সাক্ষী মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন৷ কিন্তু তার আগেই আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে আবেদন করেন৷ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে ৬১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে, তাদের আগে জেরা করার সুযোগ দেয়া হোক৷ তারপর নতুন সাক্ষীর জবানবন্দি নিতে হবে৷
কিন্তু আসামিপক্ষের এই আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান৷ তিনি বলেন, সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সাক্ষীদের জেরা করার কোনো বিধান নেই৷ তিনি দাবি করেন, সময়ক্ষেপণের জন্য আসামিপক্ষ এধরনের আবেদন করছে৷
আদালত দু’পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সাক্ষ্য না নিয়ে ৯ই এপ্রিল এবিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছন৷ ট্রাইবুনাল ঐদিন পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে৷
এদিকে এই মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া৷ আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন৷ এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেন সানাউল্লাহ মিয়া৷
২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়৷ শেখ হাসিনা আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান৷ কিন্তু হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন৷ আহত হন ৩ শতাধিক ব্যক্তি৷ এই মামলায় দুই দফা তদন্তে মোট ৫২ জনকে আসামি করা হয়৷ তারেক রহমানসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ