মুক্ত জীবনের আস্বাদ পেতে পারেন আসাঞ্জ
৭ ডিসেম্বর ২০১৮ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাদেরকে লন্ডন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, জুলিয়ান আসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বেরিয়ে মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন৷
৪৭ বছর বয়সি আসাঞ্জ গ্রেপ্তার এবং সুইডেনে হস্তান্তর ঠেকাতে গত ৬ বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসেই অবস্থান করছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে৷ ইকুয়েডর জানিয়েছে, সুইডেন আসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়েছে এবং হস্তান্তরের আবেদনও উঠিয়ে নিয়েছে৷
২০১০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পেন্টাগন সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁস করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্টিভিস্ট আসাঞ্জ৷ তাঁর আশংকা ছিল ব্রিটেন যে কোনো সময় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে পারে৷
ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ব্রিটিশ সরকার কথা দিয়েছে, যে দেশে কোনো ব্যক্তির জীবন হুমকির সম্মুখীন এবং যাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে, এমন কাউকে ঐ দেশের কাছে হস্তান্তর করবে না তারা৷'' তবে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করায় আসাঞ্জকে স্বল্পদিন কারাভোগ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
গত কয়েক মাস ধরে আসাঞ্জকে নিয়ে সমস্যায় ভুগছে ইকুয়েডর৷ অক্টোবরে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বহির্বিশ্বের সাথে তাঁর যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷
আসাঞ্জের এক আইনজীবী জানান, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গত সপ্তাহে আসাঞ্জ ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন৷
তবে উইকিলিসের তথ্য অনুযায়ী, ইকুয়েডর দূতাবাস ত্যাগ করলে তাঁকে হস্তান্তরের আবেদন জানাবে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে ঠিক কী অভিযোগে তারা হস্তান্তরের আবেদন জানাবে তা বলা হয়নি৷
ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সবশেষ মার্কিন নির্বাচনের বিষয়ে উইকিলিকসে তথ্য ফাঁসের আগে, ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন আসাঞ্জ৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)