1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৩৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার

Sanjiv Burman৮ আগস্ট ২০২৪

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় কক্সবাজারে ৩৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4jGAz
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার রোহিঙ্গা শরণার্থী
রোহিঙ্গা শরণার্থীছবি: Amanda Jufrian/AFP

সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা অন্যান্য শরণার্থীরা সেখানকার ভয়াবহ দৃশ্য বর্ণনা করছিলেন৷ তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে৷

অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নৌকাডুবির পর প্রাথমিকভাবে ছোট শিশু সহ ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ কিন্তু তারপর আরও অনেক মৃতদেহ তীরে ভেসে আসতে দেখা যায়৷ সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মৃতের সংখ্যা ৩৪ বলে জানা গেছে৷

পুলিশ জানিয়েছে, শরণার্থীদের এই দলটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসার সময় তাদের ছোট নৌকাটি বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফ নদীতে ডুবে যায়৷ বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্ত শহরের সরকারি কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, নৌকাটি মায়ানমার থেকে আসা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বহন করছিল৷

স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুস সলাম জানান, মৃতদেহগুলো দাফন করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা তাদের জীবন নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছিল৷ গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে৷''

২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীকে আক্রমণ করার পর থেকে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের পর রাখাইন থেকে পালিয়ে এসেছিল৷ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি বর্তমানে জাতিসংঘের আদালতে বিচারাধীন রয়েছ৷

বুধবার (৭ আগস্ট) রাখাইন শহর মুংডাও থেকে ৩৫ বছর বয়সী শরণার্থী আব্দুল কালাম ভিন্ন একটি নৌকায় বাংলাদেশে আসেন৷ তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ পালানোর চেষ্টা করছে৷ আব্দুল কালাম বলেন, ‘‘আরাকান সেনাবাহিনী আমাদের হত্যা করছে৷ তারা আমাদেরকে রাখাইন থেকে বের করে দিতে চায়৷ অনেক রক্ত দেখেছি৷ তারা রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে৷''

আদনান চৌধুরী বলেন, সোমবার (৫ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেরি হয়৷ আদনান চৌধুরী এফপিকে জানান, ‘‘আমরা আমাদের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠাতে পারিনি৷ কারণ তারা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিল৷'' 

এসএইচ/জেডএইচ (রয়টার্স)