1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৮৬ হাজার ভিডিও দেখে যৌন নিপীড়কদের সাজা

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

১০ বছরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশু ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন তারা৷ ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে৷ সেগুলো দেখে এবং ৩৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে দুই যৌননিপীড়ককে কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির এক আঞ্চলিক আদালত৷

https://p.dw.com/p/3P4GX
Detmold Landgericht Urteil Missbrauchs-Prozess Lügde
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Thissen

২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে ল্যুডগে শহরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর ওপর যৌননিপীড়ন চালায় আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. নামের দুই ব্যক্তি৷ মূল অভিযোগ আন্দ্রেয়াসের বিরুদ্ধে৷ তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ডেটমোল্ডের আদালত৷ অন্য আসামি মারিয়ো পেয়েছেন ১২ বছরের কারাদণ্ড৷ তবে সাজার মেয়াদ শেষেও সমাজের জন্য বিপজ্জনক মনে হলে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে থাকতে হতে পারে তাদের৷

 আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. যৌননিপীড়নের নারকীয় ঘটনাগুলো ঘটান ছোট্ট শহর ল্যুডগের এক ক্যাম্পসাইটে৷ আন্দ্রেয়াস এক শিশুকন্যাকে পেলে-পুষে বড় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ পালক কন্যাকে দিয়েই ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের নিয়ে আসা হতো ক্যাম্পসাইটে৷ আন্দ্রেয়াস আর মারিও ওই শিশুদের ভুলিয়ে ভালিয়ে যৌন লালসা মেটাতেন৷ যৌননিপীড়নের ছবি আর ভিডিও রেখে দিতেন যত্ন করে৷ এসব কাজে ৪৯ বছর বয়সি আরেক ব্যক্তিরও ভূমিকা ছিল৷ আলাদা শুনানি শেষে তাকে দু' বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷

সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই অপরাধ স্বীকার করেছেন৷ ১০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বিচারক আনকে গ্রুড্ডা ৩২ জন শিশুকে স্রেফ যৌন লালসার বস্তু বানিয়ে  তাদের শৈশব ধংস করে দেয়ায় আসামিদের ভর্ৎসনা করেন৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম বড় শিশু যৌননিপীড়নের ঘটনা এটি৷ দোষীদের কঠোর সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিশুদের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিশনার ইয়োহানেস-ভিলহেম রোরিগ বলেছেন, ‘‘ডেটমোল্ডের আদালত সর্বোচ্চ সাজাই দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমাজকে বার্তা দিয়েছে যে, শিশুদের সঙ্গে এমন অপরাধ করলে অপরাধীর কঠোর সাজা হবে৷''

এসিবি/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)   

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য