২৫ জনকে টাকা দিয়েছেন সম্রাট
২১ অক্টোবর ২০১৯তবে সম্রাট যাদের নাম বলেছে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করেননি সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা৷ তারা বলছেন, সম্রাটকে আবারো রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়ে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে৷
রমনা থানায় করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ১০ দিন এবং তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমান পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন৷ র্যাব-১ কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে দৈনিক প্রথম আালো লিখেছে, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন, মতিঝিলের ছয়টি ক্লাব থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৫০–৬০ লাখ টাকা চাঁদা পেতেন৷ ক্যাসিনোর পাশাপাশি গুলিস্তানের ছয়টি মার্কেট থেকে তোলা চাঁদার টাকাও তাঁর কাছে আসত৷ মতিঝিল ও গুলিস্তানের ফুটপাত থেকে প্রতি সপ্তাহে পাঁচ–ছয় লাখ টাকা করে পেতেন তিনি৷ এসব টাকার হিসাব-নিকাশ রাখতেন আরমান৷ আরমান সেই টাকার ভাগ বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে পৌঁছে দিতেন৷ যাদের টাকা দিয়েছেন, তাঁদের সবার নাম র্যাবকে বলেছেন সম্রাট৷ র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, যাঁদের নাম এসেছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷''
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সম্রাট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন এবং অনেকের নামও বলেছেন৷ এসব তথ্য যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে৷ পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আরমানকে সোমবার আবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে৷
সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে গত ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে র্যাব৷ সেখানে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়, আর সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দিন দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান৷ এই ভবনে থাকা সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর চামড়া পাওয়া যাওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ গ্রেপ্তারের পর দুজনকেই যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এসআই/কেএম (প্রথম আলো)