২১ আগস্ট মামলার দণ্ডিত আসামি গ্রেপ্তার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক চৌধুরী আবব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভোর ৩টার দিকে ইকবাল হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ আভিযানিক দল ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬ বছর এবং আদালতের রায়ের তিন বছর পর ইকবালকে গ্রেপ্তার করে৷
২০০৪ সালে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়৷ র্যাব প্রধান আল মামুন বলেন, ‘‘ইকবাল ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করে৷ প্রবাসে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় প্রথমে সেলিম এবং পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর নাম ধারণ করে৷ ইকবাল প্রবাসে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ২০২০ সালের শেষের দিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়৷”
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, ইকবালসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং আরো ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
ইকবাল ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ছিলেন৷ র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘‘দেশে ফিরে এসে জঙ্গি ইকবাল আইএসডি ফোন ও অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে এবং সর্বহারা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে৷ ২০০১ সালে সে হরকাতুল জিহাদে যোগদান করে৷” ২০০৪ সালে হামলার আগেই ইকবাল ঢাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন জানিয়ে র্যাব প্রধান বলেন, ‘‘আগস্ট মাসে মুফতি হান্নানের নির্দেশে সে ঢাকায় এসে গোপন আস্তানায় থাকে এবং সেসময় মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় ইকবালের৷’’
ইকবাল বলেছে, ‘‘মুফতি হান্নানের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল সে৷ মুফতি হান্নান তাকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল৷ ইকবাল মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল৷”
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)