১৫ লাখ শ্রমিকের কি মালয়েশিয়া যাওয়া হবে?
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (সংক্ষেপে ‘জি টু জি') পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া৷ দুই দেশের সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের সেই পদ্ধতিতে শুধু সরকারিভাবেই চাষাবাদের কাজে শ্রমিক পাঠানো হতো৷ পরে মালয়েশিয়া সরকার পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জি টু জি প্লাস' পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হয়৷ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়৷
সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রচারের পর অনেকেই আশাবাদী হয়ে খবরটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ারও করেছিলেন৷ ১৫ লক্ষ কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ পেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো চাঙা হবে৷ এমন আশা নিয়েই খবরটি শেয়ার করেছিলেন অনেকে৷
কিন্তু সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পরের দিনই মালয়েশিয়ায় সব দেশ থেকে শ্রমিক নেয়াই স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সে দেশের সরকার৷
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি সব ‘সোর্স কান্ট্রি' থেকে কর্মী নেওয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন৷ ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কতজন শ্রমিক প্রয়োজন সে বিষয়ে সরকারিভাবে সন্তোষজনক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নেওয়া স্থগিত থাকবে৷''
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলার কারণেই মালয়েশিয়া সরকার এই স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
প্রিয় পাঠক, মালয়েশিয়া সরকার কি খুব তাড়াতাড়ি স্থগিতাদেশ তুলে নেবে? আপনার কী মনে হয়? নীচে আপনার মতামত লিখে জানান৷
এসিবি/ডিজি