১১ কোম্পানির দুধে সীসা
১৬ জুলাই ২০১৯নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ, পারমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবির ল্যাবে দুধ পরীক্ষা করা হয়েছে৷
মোট ১৪টি কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করা হয়৷ এর মধ্যে মিল্কভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক, আইরান, পিউরা ও সেইফ মিল্কের দুধে সীসা পাওয়া যায়৷
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ফরিদ বলছেন, ২০০২ সালে বিএসটিআই পাস্তুরিত দুধের যে মান নির্ধারণ করেছিল তার ভিত্তিতেই দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে৷ তবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বা ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়নি৷
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগার (এনএফএসএল) এর এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল৷ এতে দুধে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ও সীসা পাওয়া যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় ঐ গবেষণাটি করা হয়৷
বিভিন্ন দৈনিকে ঐ গবেষণার ফল প্রকাশিত হলে ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল৷
গত ২৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক সংবাদ সম্মেলনে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন৷ এরপর শুরু হয় আলোচনা৷
জেডএইচ/জেডএ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)