1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হৈ চৈ করে শুরু হয়ে গেল অক্টোবরফেস্ট

২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯

এ বছর একশো ছিয়াত্তরে পা দিল এক উত্সব৷ মিউনিখের সুবিখ্যাত অক্টোবরফেস্ট৷ শনিবার মাঝরাত, রাত ঠিক বারোটায় শুরু হল ফেস্ট৷ চলবে দুই সপ্তাহ ধরে৷

https://p.dw.com/p/Jkk9
অক্টোবরফেস্টের হুল্লোড়, সকলের পরণে ঐতিহ্যময় পোষাকছবি: AP

ঠিক এক সপ্তাহ পরে জার্মানির সাধারণ নির্বাচন৷ গত শুক্রবার আল কায়েদা হুমকি দিয়েছে জার্মানিতে সন্ত্রাসী হামলা চালাবার৷ এসবের কিছুই কোনরকম ছাপ ফেলতে ব্যর্থ মিউনিখের সুপ্রাচীন অক্টোবরফেস্টের ওপর৷ বিশাল মেলাপ্রাঙ্গণ একেবারে দুরন্ত সাজগোজ করে তৈরিই ছিল৷ মিউনিখের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান উডে ঠিক সময়ে প্রথম বিয়ারের ব্যারেলটি খুলে উত্সব শুরু করে দিলেন ঠিক রাত বারোটায়৷ মানে শনিবার রাত বারোটা বা রবিবারের শুরুর মুহূর্তটায়৷ ১৮১০ সালে যেভাবে অক্টোবরফেস্টের সূচনা হয়েছিল, এই ২০০৯ সালেও তার কোনরকম ব্যতিক্রম হল না৷

মিউনিখের এই দুনিয়াবিখ্যাত অক্টোবরফেস্ট আসলে বিয়ার পান করার উত্সব বলে সকলে জানেন৷ যদিও বিয়ারপানের পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাত, আড্ডা হৈচৈ সবই চলে টানা দুই সপ্তাহ ধরে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন আমোদপ্রিয় মানুষ৷ জার্মানির এই সুপ্রাচীন উত্সবে দেখা যায় এবং পরিচিত হওয়া যায় জার্মান সংস্কৃতি, কৃষ্টির সঙ্গে সরাসরি৷ এছাড়া মেলার চরিত্র যেমন হয়, রঙ্গব্যঙ্গ থেকে নাগরদোলা, রঙিন পোষাক, নানরকমের খাবারদাবার, ম্যাজিক বা জাদুর আসর ইত্যাদি সবকিছুরই ব্যবস্থা থাকে বিশাল মেলাপ্রাঙ্গণ জুড়ে৷ এছাড়া বাভারিয়ার বিখ্যাত বিয়ারের একাধিক আসর তো মেলার অন্যতম প্রধান চরিত্র৷

BdT Deutschland Berlin Oktoberfest Angela Merkel
অক্টোবরফেস্টে গত বছর যোগ দিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলছবি: AP

তবে এবারের অক্টোবরফেস্টের শুরুর দিনটা আরও রঙিন হয়ে উঠল মিউনিখের ঘরের ফুটবল দল বায়ার্ন মিউনিখের শনিবারের বুন্দেসলিগা বিজয়ের পর৷ শনিবারের খেলায় বায়ার্ন তাদের চিরশত্রু ন্যুরেনবার্গকে ২-১ গোলে হারিয়েছে৷ অক্টোবরফেস্টের শুরু হল তার মাত্র কয়েকঘন্টা পরেই৷ ফলে উত্সবে বাড়তি আনন্দ নিয়ে এল বায়ার্নের এই বিজয়৷ আর পরপর তিনটে ম্যাচ জিতে বায়ার্ন এখন বেশ ভালো ফর্মে৷ লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হামবুর্গের ঘাড়ের কাছে তারা নিঃশ্বাস ফেলছে৷

শুরুতেই সুসংবাদ, সুতরাং অক্টোবরফেস্ট এবার জমে উঠবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা৷ শুধু একটাই আশঙ্কা৷ পানের মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়ার পর কোন কোন বছর বোতল গেলাসকে হাতিয়ার করে মারপিটও হয়ে থাকে অক্টোবরফেস্টে৷ আশা করা যাক, এ বছর সেসব যেন না ঘটে৷

আর একটা ব্যাপার, সামনের রবিবার জার্মানির সাধারণ নির্বাচন৷ সেজন্য অক্টোবরফেস্ট কোনরকম ভাবে ফাঁকা হয়ে যাবে না তো ? এ প্রশ্নের জবাবে মেলায় যোগ দেওয়া তরুণ তরুণীরা একবাক্যে বলে দিয়েছেন, রাজনীতির জায়গা এটা নয়৷ এ হল আমোদ আর বন্ধুত্ব আর সংস্কৃতির তীর্থক্ষেত্র৷ অতএব অক্টোবরফেস্ট তার চরিত্র হারাবে না, তা সে যতই নির্বাচন হোক, আর যা-ই হোক৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই