1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেলিকপ্টার দিচ্ছে জার্মানি, ক্ষেপণাস্ত্র চায় ইউক্রেন

২৫ জানুয়ারি ২০২৪

ইউক্রেনকে সামরিক হেলিকপ্টার দিতে রাজি হলো জার্মানি। কিন্তু ইউক্রেন জার্মানির কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র চায়।

https://p.dw.com/p/4beA9
জার্মানির সি কিং এমকে ৪১ হেলিকপ্টার
ইউক্রেনকে ছয়টি সামরিক হেলিকপ্টার দিচ্ছে জার্মানিছবি: Wolfgang Minich/picture alliance

ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা জার্মানির কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র চায়। সে জন্য আলোচনাও করছে। কিন্তু তাদের এই অনুরোধ গত সপ্তাহে জার্মানির পার্লামেন্ট খারিজ করে দিয়েছে।

একদিন আগেই জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ছয়টি সামরিক হেলিকপ্টার ও তার যন্ত্রাংশ দেয়া হবে। ইউক্রেনের সেনাকে এই হেলিকপ্টার চালানোর প্রশিক্ষণও দেবে জার্মানি।

কেন ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র চায়?

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে গিয়ে আক্রমণ চালানোর জন্য তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের দরকার নেই।

কুলেবা বলেছেন, ''মস্কো আক্রমণ করার জন্য আমাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র দরকার নেই। রাশিয়া ইউক্রেনের যে জায়গাগুলি নিয়ে রেখেছে, সেখানে তাদের পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ করার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের দরকার।''

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এখনো পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র দিতে অস্বীকার করেছেন। জার্মানির আশঙ্কা, ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দিলে রাশিয়া আক্রমণের তীব্রতা আরো বাড়াবে।

পার্লামেন্টে বিরোধীরা ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট গতসপ্তাহে সেই অনুরোধ খারিজ করে দেয়।

হেলিকপ্টার দেয়া হবে

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, ইউক্রেনকে ছয়টি সি কিং এমকে ৪১ মাল্টিপারপাস হেলিকপ্টার দেয়া হবে।

তিনি বলেছেন, সি কিং খুবই শক্তিশালী হেলিকপ্টার, এটা হাতে পেলে অনেক জায়গায় ইউক্রেনের সুবিধা হবে। তারা প্রয়োজনে কৃষ্ণসাগরে সেনাও পাঠাতে পারবে। জার্মানি থেকে এই প্রথম এই ধরনের হেলিকপ্টার দেয়া হলো।

এক দশক পুরনো এই হেলিকপ্টারগুলি এখন মূলত সমুদ্রে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হয়। নতুন এনএইচ-৯০ সি লায়ন হেলিকপ্টার এখন জার্মানির হাতে রয়েছে। এই নতুন হেলিকপ্টারই সি কিং-এর জায়গা নেবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানি ছয়শ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও সামরিক জিনিস ইউক্রেনকে দিয়েছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)