হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্ম নিলো অপ্সরা
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮অপ্সরার মা সালমা বেগম ও বাবা আফজাল হোসেন এর আগেও টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তখন তাতে কোন কাজ হয়নি৷
এরপর তারা হিমায়িত ভ্রুণের মাধ্যমে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করেন৷ অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা রাশিদা বেগমের নেতৃত্বে পাঁচ চিকিত্সকের একটি দলের তত্ত্বাবধানে৷
ডা. রাশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রথমে টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে ১৪টি ভ্রুণ তৈরী করা হয়৷ গত বছরের সেপ্টেম্বরে অপ্সরার মা সালমা বেগমের জরায়ুতে ৩টি ভ্রুণ প্রতিস্থাপন করা হলেও লাভ হয়নি৷ পরে বাকি ভ্রুণগুলো চার মাস হিমায়িত অবস্থায় রাখা হয়৷ এসব ভ্রুণগুলোকে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পানিশূন্য করে বিশেষ পাত্রে শূন্যের নীচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তরল নাইট্রোজেনে রাখা হয়৷ শেষ পর্যন্ত ৪টি ভ্রুণ জীবিত অবস্থায় থাকলে সেগুলো আবারও সালমা বেগমের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়৷
অতি আকাংখিত এ সন্তান লাভে এ সুখী দম্পতির ঢালতে হয়েছে কাড়ি কাড়ি অর্থ৷ প্রথম দফায় টেস্ট টিউব পদ্ধতির জন্য তাদের দিতে হয়েছে দুই লাখ টাকা৷ এরপর আরও ৬৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে তাদের৷ তবে এরপরও তারা খুশি৷ কারণ বিয়ের পর পাঁচ বছর নিঃসন্তান থাকার পর অবশেষে তাঁদের কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে অপ্সরা৷