1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হতাশার কিছু দেখছেন না মুশফিক

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যে কোনো খেলাতে দল যতই সংকল্পবদ্ধ থাকুক না কেন ছোটখাটো টেকনিক্যাল ক্রুটি দূর করতে না পারলে কখনোই সাফল্য আসে না৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর এ বিষয়টির ওপরেই জোর দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম৷

https://p.dw.com/p/2jbrC
Bangladesch Cricket | Bangladesch vs. Australien
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/R. Cianflone

অধিনায়ক মুশফিক এরইমধ্যে খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল ত্রুটি দূর করতে না পারলে একই পরিস্থিতিতে বারবার পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন৷

বলেছেন, ‘‘অনেকেই ভাবেন আমরা হয়ত টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড....হয়ত টেকনিক্যালি আমরা খুব ভালো৷ কিন্তু এখনও অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার৷ এই যেমন, উইকেটে কীভাবে থাকতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে – এসব শেখার সুযোগ আমরা তো খুব বেশি পাই না৷ আমরা গত কিছু দিনে দুই বা তিনটে টেস্টে এই সুযোগ পেয়েছি৷ কিন্তু সুযোগগুলো ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি৷ সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে কিন্তু শিখতেও পারব না৷''

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ ১-১-এ ড্র করেছে বাংলাদেশ৷ প্রথম টেস্ট জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল পুরো দেশ৷ তারপর দ্বিতীয় টেস্ট হেরে সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হলেও তাতে হতাশ হওয়ার কিছু দেখছেন না মুশফিকুর রহিম৷ তাঁ মতে, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র-ও অবশ্য বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন৷ সাত উইকেটের হার, তারপরও সিরিজ ড্র-কে অর্জন বলায় অনেকে আপত্তি তুলতে পারেন৷ তবে তাঁদের আগে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ঠিক কোথায় আছে, সেটা ঠিকমতো বুঝে নিতে হবে৷''

বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান আরো বলেন, ‘‘একটা ম্যাচ ভালো করলে এত উপরে উঠে যাই৷ আবার একটা খারাপ করলে এত নীচে নেমে যাই৷ বাংলাদেশ দলকে এভাবে দেখা ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই সমর্থন করি না৷'' তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, আমরা প্রথম টেস্টে খুব অসাধারণ কাজ করেছি৷ এখন অন্তত চোখে চোখ রেখে ওদের চ্যালেঞ্জ করার সামর্থ্য হয়েছে৷ এটা বড় একটা প্রাপ্তি৷''

অস্ট্রেলিয়ার কাছে শেখার আছে অনেক কিছু৷ বিরুদ্ধ কন্ডিশনে নিজের ইনিংস কীভাবে গড়তে হয় তার এক বড় উদাহরণ এখন ডেভিড ওয়ার্নার৷ মুশফিক মনে করেন, সিরিজের দুই টেস্টেই সেঞুরি করা অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যানের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে৷

তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্নারকে দেখেন, ও কত আক্রমণাত্মক একজন ব্যাটসম্যান৷ কিন্তু এখানে কত কষ্ট করে রান করেছে, এটা সম্ভবত ওর সবচেয়ে মন্থর সেঞ্চুরি৷ আমার মনে হয়, আমরা এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি৷ এই উইকেটে ও কীভাবে রান করেছে৷ ও চাইলে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে পারতো৷ তখন অনেক সুযোগ আসতে পারতো ওকে আউট করার৷''

চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৩৭৭ রানের জবাবে যখন বাংলাদেশ ব্যাট করছিল, তখন এক পর্যায়ে ইনিংস পরাজয়ও হাতছানি দিচ্ছিল৷  কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হলেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দিতে পারেনি বাংলাদেশ৷

তবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৭ রানে গুঁড়িয়ে দেবার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন৷ দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ছয়টি উইকেট নিয়েছেন তিনি৷ প্রথম ইনিংসেও লায়নের সংগ্রহ ছিল সাতটি উইকেট৷

এএম/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান