হামলা থামবে না: নেতানিয়াহু
২০ মে ২০২১উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত গাজা স্ট্রিপে হামলা থামাবে না ইসরায়েল। বুধবার ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এ দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় তার। তারপরেই বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষ নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে অ্যামেরিকা। একদিকে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলছে, অন্যদিকে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হতে দিচ্ছে না। অ্যামেরিকার প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বুধবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা হয় জো বাইডেনের। সেখানে ডি এসকালেশন বা ধীরে ধীরে উত্তেজনা কমানোর পরামর্শ দেন বাইডেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিবৃতি জারি করে। সেখানে বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা থামাবে না।
এর আগেও ফোনে নেতানিয়াহুকে ধীরে ধীরে উত্তেজনা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ঘটনাই ঘটেছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের কথা বললেও এ বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করতে চাইছে না অ্যামেরিকা। জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ দেশ যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করতে চাইলেও অ্যামেরিকা তাতে ভেটো দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অ্যামেরিকার সব চেয়ে বড় বন্ধু ইসরায়েল। কোনোভাবেই তার থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে না বাইডেন প্রশাসন।
হাইকো মাসের সফর
জার্মানি অবশ্য গোড়া থেকেই যুদ্ধবরিতির পক্ষে সওয়াল করছে। বিতর্কটির রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে। বৃহস্পতিবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের ইসরায়েল যাওয়ার কথা। প্রথমে ইসরায়েলের প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলে তার ফিলিস্তিন যাওয়ার কথা। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার কথা মাসের। কী ভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, সে বিষয়েই আলোচনা করবেন তিনি।
পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে চীনও। চীনের সরকার ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, চীন যুদ্ধ চায় না। উপদ্রুত এলাকায় আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফিরে আসুক, এটাই চীনের দাবি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মধ্যস্থতাকারীর সাহায্য নেওয়া হোক, এ দাবিও চীন করেছে। চীনের বক্তব্য, জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য সচেষ্ট হয়েছে চীন। কিন্তু অ্যামেরিকার আপত্তিতে তা করা যাচ্ছে না।
চীনের সঙ্গে ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখে চীন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীন কোনোভাবেই সেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না। দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)