অনুমতি পেল জি-টোয়েন্টি প্রতিবাদকারীরা
২৯ জুন ২০১৭জার্মানির কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত বুধবার জানিয়েছে, জি-টোয়েন্টি সামিটের প্রতিবাদকারীদের অবস্থানের জায়গা নির্ধারনে শহর কর্তৃপক্ষের সহায়তা করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ প্রতিবাদকারীরা ইতোপূর্বে শহরের পার্কে তাবু টাঙিয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিলে নগর কর্তৃপক্ষ তার বিরোধিতা করে৷ এই বিষয়ে একটি আদালত প্রতিবাদকারীদের বিপক্ষে রায় দিলেও সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে প্রতিবাদকারীদের এ ধরনের সমাবেশ আয়োজনের আইনি অধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে৷
তবে ‘পুঁজিবাদবিরোধী ক্যাম্প’ তৈরি করতে গিয়ে পার্কটিতে যাতে কেউ কোনো রকমের ভাঙচুর বা অন্য কোনো ক্ষতিকর কাজ করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতেও নগর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তবে পার্কের অখণ্ডতা ধরে রাখতে গিয়ে পাবলিক ফান্ড যত কম খরচ করা সম্ভব, সেদিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে৷ ফলে হামবুর্গ কর্তৃপক্ষ চাইলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থানস্থল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষ সম্ভবত শহরের পার্কের বদলে অন্য কোথাও বিক্ষোভকারীদের অবস্থান করতে দিতে পারে৷
এদিকে, বুধবার সকালে প্রতিবাদকারীরা এলবে নদীর উপরে একটি সেতুতে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে যেখানে লেখা আছে, ‘‘সেতু তৈরি কর, দেয়াল নয়’’৷ পশ্চিমা ধনী রাষ্ট্রগুলোর অভিবাসননীতির বিরোধিতা করে এই ব্যানারটি প্রদর্শন করা হচ্ছে৷
প্রতিবাদকারীরা হামবুর্গের পার্কে কার্যত একটি তাঁবু শহর গড়তে চাচ্ছেন, যেখানে দশ হাজার মানুষ তিন হাজার তাঁবু টাঙিয়ে জুলাইয়ের নয় তারিখ অবধি থাকবেন৷ শহর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ক্যাম্প পার্কে তৈরি আইনবিরুদ্ধ দাবি করে প্রতিবাদকারীদের তা স্থাপন করতে দেয়নি৷ এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাদের৷
উল্লেখ্য, আগামী সাত এবং আট জুলাই জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ বিশ্বের ২০টি শিল্পোন্নত দেশের শীর্ষনেতারা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)