হাঙরের সঙ্গে এক খাঁচায় ২০ সেকেন্ড
২ ডিসেম্বর ২০১৬না, কিছুই হয়নি৷ মাত্র ২০ সেকেন্ড হাঙরটি খাঁচার ভেতরে ছিল৷ তারপর বের হয়ে যায়৷ তাই ঐ ডাইভারের কিছুই হয়নি৷ বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নীচের ভিডিওটি দেখুন৷
দেখা শেষ হয়েছে? এবার আরেকটু বিস্তারিত জানা যাক৷ চীনা ঐ স্কুবা ডাইভারের নাম চ্যান মিং৷ তিনি বিজ্ঞাপন শিল্পে কাজ করেন৷ আর অবসর সময়ে স্কুবা ডাইভিংয়ের ইন্সট্রাক্টর হয়ে যান৷ গত অক্টোবর মাসে মিংসহ ২০ জন মানুষ মেক্সিকোর গুয়াডালুপে দ্বীপে পাঁচদিনের সফরে গিয়েছিলেন৷ ঐ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল কাছ থেকে গ্রেট হোয়াইট শার্কদের চলাফেরা দেখা৷ সেটি করতেই তিনি পানির নীচের একটি খাঁচায় ঢুকেছিলেন৷ তারপর হাঙরকে খাঁচার কাছাকাছি আনতে ডাঙায় থাকা এক ব্যক্তি একটি দণ্ডের মাথায় টুনা মাছ লাগিয়ে হাঙরের সামনে ধরেছিলেন৷ হাঙর সেই মাছের আকর্ষণে সেটি ধরার চেষ্টা করে৷ কিন্তু ডাঙায় থাকা ব্যক্তিটি দণ্ডকে টেনে খাঁচার কাছে নিয়ে আসে৷ ফলে হাঙরও খাঁচার একেবারে কাছাকাছি চলে আসে৷ এভাবেই পর্যটকদের হাঙর দেখানো হয়৷
কিন্তু মিংয়ের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম ঘটেছে৷ হাঙরটি খাঁচা ভেঙে আচমকা ভেতরে ঢুকে পড়েছিল৷ সেই দৃশ্য দেখে ডাঙায় থাকা মানুষরা ভয় পেয়ে যান৷ তাদের মধ্যে একজন তাড়াতাড়ি করে খাঁচার উপরের অংশটি খুলে দেন৷ ফলে অন্তত ২০ সেকেন্ড পর চেষ্টা করে হাঙরটি খাঁচা থেকে বের হয়ে আসে৷ তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হাঙরটির শরীরের কিছু অংশে আঘাত লাগে৷ তবে সেটি মারাত্মক কিছু নয় বলে পরবর্তীতে জানা গেছে৷
এদিকে হাঙরটি বের হয়ে যাওয়ার পর সবাই খাঁচায় থাকা মিংয়ের খোঁজ পেতে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে৷ তবে আশার কথা, মিং সুস্থ অবস্থায় পানি থেকে উঠে আসেন৷
পরে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিং বলেন, হাঙরের সঙ্গে এক খাঁচায় থাকতে তাঁর ভয় লাগেনি৷ ‘‘সত্যি বলতে কী, সেই সময় ভয় পাওয়ার মতো সময়ও ছিল না,'' জানান মিং৷ এই ঘটনায় তিনি যে আসলেই ভয় পাননি সেটি আপনি বিশ্বাস করতে পারেন এই তথ্য জেনে যে, তিনি পরেরদিনই আবার হাঙর দেখতে পানিতে নেমেছিলেন!
পুরো ঘটনার আরও বিস্তারিত দেখুন...
প্রিয় পাঠক, জানতে ইচ্ছে করছে এই অবস্থায় আপনি কী করতেন? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
জেডএইচ/ডিজি (নিউ ইয়র্ক টাইমস)