হাইডেলবার্গকে ভালোবাসার সাত কারণ
বছরে বারো লাখ দর্শণার্থী যে শহরে যান, তার নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু আছে৷ হাইডেলবার্গ জার্মানির অন্যতম সুন্দর শহর৷ নেকার নদীর তীরে অবস্থিত শহরটিকে অনেক পর্যটক মনে করেন রোমান্টিকতার কেন্দ্র৷
আদর্শ স্থান
সেতু, পুরান শহরের কেন্দ্র আর দুর্গ – মনোমুগ্ধকর এবং মায়াময় এই দৃশ্য অনেক কবিকে কবিতা লিখতে উৎসাহ যুগিয়েছে৷ ইওহান ভল্ফগান ফন গ্যোথে ২০০ বছর আগে যথার্থই লিখেছেন, ‘‘এই শহরের অবস্থান এবং পরিবেশ দেখে একজন এটাকে আদর্শ বলতেই পারেন৷’’
পুরাতন সেতু
পুরাতন সেতুটি শহরের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক৷ ১২৮৪ সালে এখানে কাঠের একটা সেতু ছিল৷ কিন্তু পানির তোড়ে সে সেতু নিয়মিতই ভেসে যেত৷ পরবর্তীতে ১৭৮৮ সালে কাঠের সেতু বদলে পাথরের এই সেতুটি তৈরি করা হয়৷
বিশ্বখ্যাত ধ্বংসাবশেষ
ছবির এই দুর্গটি সপ্তদশ শতকে ফরাসি সেনারা ধ্বংস করে৷ এখন অবশিষ্ট যা আছে, তা মূলত ধ্বংসাবশেষ৷ তারপরও পর্যটকরা সেটি দেখতে যান৷
রোম্যান্টিক পটভূমি
হাইডেলবার্গ শহর সন্দেহাতীতভাবে শহরের মূল আকর্ষণ৷ ঊনিশ শতকের শেষের দিকে চমৎকার স্টেট রুমগুলো পুনরুদ্ধর করা হয়৷ পর্যটকরা এখন তা দেখতে পারেন৷
স্বাচ্ছন্দ্যময় পুরনো শহরের কেন্দ্র
হাইডেলবার্গের পুরাতন শহর গড়ে উঠেছিল সেই ‘মিডেল এজে’, অর্থাৎ পঞ্চম এবং চতুর্দশ শতকে তৈরি হয়েছিল, যদিও অধিকাংশ বাড়ির সামনের অংশ দেখতে সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতকের মডেলের৷ পর্যটকদের জন্য পুরনো শহরে রয়েছে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট এবং দোকান৷
শেখার জন্য আদর্শ জায়গা
হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্য হচ্ছে ‘সবসময় খোলা’৷ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৮৬ সালে৷ জার্মানির সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে জগৎজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন অনেক বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক অধ্যয়ন, গবেষণা করেছেন৷ আর শিক্ষার্থীরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির তারুণ্য এবং সজীবতা ধরে রেখেছেন৷
বিগড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কারাগার
কোনো শিক্ষার্থী কোনোভাবে শান্তিবিঘ্ন করলে অতীতে তাকে এই কারাগারে আটকে রাখা হতো৷ তবে অধ্যাপকদের লেকচারে যোগ দিতে পারতেন তারা৷ সর্বোচ্চ চার সপ্তাহ পর্যন্ত এখানে আটকে রাখা হতো৷ বলাই বাহুল্য এখন সেই ব্যবস্থা আর নেই৷