1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইকোর্টে হাঙ্গামার ঘটনা নিয়ে রাজনীতি জগত উত্তাল

৫ আগস্ট ২০১১

বাংলাদেশের হাইকোর্টে হাঙ্গামার ঘটনায় আটক একজন সংসদ সদস্যসহ ৩ আইনজীবীকে জামিন দেননি আদালত৷ পুলিশ তাদের রিমান্ডেরও আবেদন জানায়৷ সোমবার জামিন এবং রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হবে৷

https://p.dw.com/p/12Bkg
High Court building in dhaka, bangladesh, Foto: Harun Ur Rashid Swapan/DW, eingepflegt: Januar 2011, Zulieferer: Mohammad Zahidul Haque
ফাইল ফটোছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

গ্রেফতার এড়াতে আরেকজন আইনজীবী হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন৷ এদিকে হাঙ্গামা এবং গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে৷

মুফতি ফজলুল হক আমিনী সংবিধান ডাস্টবিনে ছুঁড়ে মারার কথা বলায় তা আদালতে চ্যলেঞ্জ করা হয়৷ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর রায় দিতে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার একই ধরনের মন্তব্যকেও রাষ্ট্রদ্রোহের সমান অপরাধ বলে পর্যবেক্ষণ দেন৷ আর তাতেই বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা হাঙ্গামা করেন আদালত কক্ষে৷ অভিযোগ, সেখানে পুলিশকে দায়িত্ব পালনেও বাধা দেয়া হয়৷ এই ঘটনায় মোট ২টি মামলা হয়েছে৷ সেই মামলায় বিএনপির এমপি এবং আইনজীবী এ্যাডভোকেট সৈয়দা আসফিয়া আশরাফি পাপিয়া, এ্যাডভোকেট আবুবকর সিদ্দিক এবং এ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে৷ আজ তাদের আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ তাদের প্রত্যেক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়৷ তাদের জামিনেরও আবেদন জানান হয়৷ আদালত ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী ৮ই আগষ্ট রিমান্ড এবং জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন৷

এদিকে হাইকোর্টে তদন্ত কাজে যাওয়া পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আবদুল জলিলকে মারধোর করার মামলার আসামি এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তারে জন্য গতরাত থেকে হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ৷ মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার এড়াতে আইনজীবী সমিতির অফিসে অবস্থান নিয়েছেন৷ তার দাবি, তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে রক্ষা করেছেন৷ তবে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়া পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান সাব ইন্সপেক্টর আবদুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে মারধোর করা হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন৷

এদিকে বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে নেমেছে৷ আর আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি দেশে গুণ্ডা রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়৷ তাই তাদের আইনজীবীরা আদালতে হামলা চালিয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য