বিরোধে ইরান-যুক্তরাজ্য
১১ জুলাই ২০১৯যুক্তরাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হরমুজ প্রণালী পার হওয়ার সময় ব্রিটিশ একটি তেলবাহী ট্যাংকারকে থামিয়ে দেওয়া এবং গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা চালায় ইরানি বাহিনী৷ কিন্তু ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে তাদের সতর্ক করা হয়৷
তখন ইরানের তিনটি নৌ জাহাজ থেকে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজকে সরে যেতে বলা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে৷
‘‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি জাহাজ হরমুজ প্রণালীতে বাণিজ্যিক ট্যাংকার ‘ব্রিটিশ হেরিটেজ'-এর গতিরোধের চেষ্টা চালায়,'' বলা হয় সরকারি বিবৃতিতে৷
এতে বলা হয়, ‘‘ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজ এইচএমএস মনট্রোস এসে তেলের ট্যাংকার ও ইরানি জাহাজগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে এসে অবস্থান নেয় এবং ইরানি নৌ জাহাজকে সরে যেতে বলে৷''
এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্রিটেন বলছে, ‘‘আমরা ওই এলাকায় উত্তেজনা কমিয়ে আনার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷''
ব্রিটেনের এমন দাবির পর ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ ‘‘গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশি কোনো জাহাজের সঙ্গে আমাদের এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ এমনকি ব্রিটিশ জাহাজের সঙ্গেও নয়,'' বলা হয় তাদের বিবৃতিতে৷
বিরোধের কারণ
জুন মাসে হরমুজ প্রণালীতে দুটি তেলের ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ইরানকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন মিত্র দেশ৷ সে সময় ব্রিটেন বলেছিল, ওই হামলার জন্য ইরান ‘প্রায় নিশ্চিতভাবে' দায়ী৷
এরপর গত সপ্তাহে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সহায়তায় জিব্রাল্টারে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করা হয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবরোধ অমান্য করে ইরান থেকে সিরিয়ায় ওই ট্যাংকার যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করে ব্রিটেন৷
ওই ট্যাংকার ছেড়ে না দিলে ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারও আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান৷ ট্যাংকার আটককে দস্যুবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করেছিল ইরান৷
ইরানের এমন হুমকির পর হরমুজ প্রণালী থেকে তেলবাহী ট্যাংকার পার করতে নৌবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে যুক্তরাজ্য৷ এর মধ্যে বুধবারের ঘটনাটি ঘটার কথা বললো দেশটি৷
এমবি (রয়টার্স, এএফপি, এপি, বিবিসি)