হরতালের প্রথম দিন সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিপেটা
১০ জুলাই ২০১১সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশত আহত হয়েছে৷ আর আটক করা হয়েছে দু'শতাধিক ব্যক্তিকে৷
সকালে কাঁচপুর এলাকায় সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে হরতাল তপ্ত হয়ে ওঠে৷ হাতে লাঠি নিয়ে হরতাল সমর্থক ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে পরিবহন শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ জানায়৷ এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়৷ আর এতে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ৷
শ্রমিকরা বলেন, তারা এই হরতাল মানে না৷ তারা তাদের রুজি রুটি বন্ধের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে৷
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে এই ত্রিমুখী সংঘর্ষ৷ নারাণগঞ্জের পুলিশ সুপার শরীফুজ্জামান জানান, হরতাল সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ ছাড়াও গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়৷
নারায়ণগঞ্জেও পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়য়েছে৷ এতে ৪/৫ জন পুলিশসহ ১০/১৫ জন আহত হয়েছে৷ আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুল হক জানান, পুলিশের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালান হয়৷
এদিকে, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী দাবি করেছেন তাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ হামলা চালিয়েছে৷ এই সরকার ইসলাম বান্ধব নয়৷
অন্যদিকে হরতাল বিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলছেন, ইসলাম নয়, এরা ইসলামের নামে হরতাল দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে৷
কাল দুপুরে ১২টি সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলের টানা ৩০ ঘণ্টা হরতাল শেষ হবে৷ সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস শব্দগুলো পুন:স্থাপনের দাবিতে তারা এ হরতাল ডেকেছে৷ বিএনপি ও জামায়াত এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই