1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হতাশা কাটাতে ভূতের দুয়ারে

২৬ আগস্ট ২০২০

ঘরবন্দি হতাশাগ্রস্ত মানুষকে নিরাপদ বিনোদন দিতে অভিনব আয়োজন করেছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান৷ টাকার বিনিময়ে টোকিও শহরের বাসিন্দাদের ভৌতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করছেন তারা৷ 

https://p.dw.com/p/3hWtw
ছবি: Getty Images/AFP/P. Fong

অন্ধকার একটি ঘরে স্বচ্ছ কাঁচের কফিনে আপনাকে বন্দি করে ফেলা হবে৷ এরপরই শুরু হবে ভয়ংকর  সব কাণ্ডকারখানা, যাতে আপনার আত্মা শুকিয়ে যাওয়ার দশা হবে৷ বন্ধ ঘরে ভয়ংকর চিৎকার চলতে থাকবে, ঘুরে বেড়াবে ভৌতিক সব চরিত্র৷ তারা এমনকি কফিন থেকে তুলে নিতে চাইবে আপনাকে৷ মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সেটি আপনার কাছে অনন্তকাল মনে হতে পারে৷ যেতে চান এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে?

করোনার এই সময়ে বাইরের বিনোদন থেকে বঞ্চিত টোকিওবাসী৷ গ্রীষ্ম বিদায় নিতে শুরু করলেও বেড়াতে কিংবা বিনোদন পার্কগুলোতে যাওয়ার সুযোগ এবার মেলেনি৷ সে কারণে অনেকের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা৷ তা থেকে মুক্তি দিতেই এমন অদ্ভুত উপায় বের করেছে একটি প্রতিষ্ঠান৷ বিনা পযসায় নয়, এজন্য আট হাজার ইয়েন বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা খরচ করছেন অনেকেই৷ 

আইডিয়াটি ২৫ বছরের তরুণ কেনটা ইওযানার। তিনি ‘কোয়াগারাসেতাই’ বা ‘আতঙ্ক স্কোয়াড’ নামের কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা৷ ডয়চে ভেলেকে ইওয়ানা বলেন, ‘‘মানুষ সাধারণ গ্রীষ্মের ছুটি যেভাবে কাটায় এবার তা সম্ভব হয়নি৷ এ কারণে তারা হতাশা বা বিষন্নতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন৷ বিনোদন পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে আছেন৷ কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না৷ কারণ থিম পার্কগুলো বন্ধ, এমনকি ভ্রমণে বের হওয়াও সম্ভব নয়৷’’ 

এর সমাধান হিসেবেই টোকিওর সুনজুকু শহরের দূর পাল্লার বাস টার্মিনালে মানুষকে ভয় দেখানোর এই আয়োজন করেছেন তিনি৷ ইওয়ানার সঙ্গে আছেন আরো দুইজন৷ কারা আসেন সেখানে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বেশিরভাগই ২০ বছরের তরুণ-তরুণীরা আসে৷ তবে দুইটি পরিবারও এসেছিল৷’’ যারা অভিজ্ঞতা নিয়েছেন টুইটারে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন৷ যেমন, একজন লিখেছেন, ‘‘খুবই শক্তিশালী ছিল, যেন ফোর ডাইমেনশনের কোন ভৌতিক সিনেমা৷ এই গ্রীষ্মে আমার জন্য সবচেয়ে উপভোগ্য সময় এটা৷’’ তাদের আরেক গ্রাহক লিখেছেন, ‘‘কফিনের ভিতর আটকে থাকা আমি যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও ভয়ংকর ছিল৷ আর কিছুক্ষণ বেশি হলে আমার জন্য বিপদজনক হতে পারত৷’’  

জুলিয়ান রায়াল/এফএস