1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং সীমান্তে এলো চীনা সামরিকবাহিনী

১৫ আগস্ট ২০১৯

হংকং ও চীনের সীমান্তের কাছে শেনঝেনে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন৷ হংকং এ চলমান প্রতিবাদের আবহাওয়ায় কী বার্তা দিচ্ছে এই মহড়া?

https://p.dw.com/p/3NyWm
China Militärfahrzeuge in Shenzhen an der Grenze zu Hongkong
ছবি: Reuters/T. Peter

চীনের ‘পিপলস আর্মড পুলিশ'এর শতাধিক আধাসামরিক ট্যাঙ্ক ও ট্রাকসহ কয়েকশ সামরিক সদস্য বর্তমানে সেখানে রয়েছেন৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, এর সাথে রয়েছে দু'টি জলকামানও৷

প্রসঙ্গত, গত দশ সপ্তাহ ধরে হংকং এ চলছে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ গণতন্ত্রের দাবিতে পথে নামা জনতা ইতিমধ্যে স্তব্ধ করেছে হংকংগামী বিমান চলাচলও৷

এর মধ্যেই চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে সামরিক মহড়ার খবর৷ টুইট করে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও৷

বিক্ষোভ সংযত করতে এর আগেও বেইজিং-এর পক্ষে জানানো হয়েছে যে, এই প্রতিবাদকে তারা দেখছে প্রায় সন্ত্রাসবাদের সমতুল্য হিসাবে৷ পরিস্থিতি সামলাতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনকেও কাজে লাগাতে পারে তারা৷

আসলেই কি থামাবে প্রতিবাদ?

সিঙ্গাপুরের নানইয়াং ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস চার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী হংকং এ ঢুকলে যে চীনবিরোধী মনোভাব আরো সংগঠিত হবে, তা নিশ্চয়ই বেইজিংও জানে৷''

পরিচয় গোপন রেখে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান যে, এই পদক্ষেপ আসলে শুধুই প্রচারণা৷ বাস্তবে চীনা বাহিনীর সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবাদ ঠেকানোর চিন্তা অবাস্তব, বলেন তিনি৷

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পর থেকে হংকঙে গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বর্তমানের এই বিক্ষোভ৷ প্রথমে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে বদলের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা হংকং এ সার্বিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পরিণত হয়৷

এসএস/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)