ইউক্রেনের সামরিক অভিযান শুরু
২ মে ২০১৪ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন আভাকভ জানান, স্লোভিয়ানস্কে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে৷ হামলায় হেলিকপ্টারের পাইলট মারা যান৷ অন্যদিকে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স স্লাভিয়ানস্কের ‘স্বঘোষিত' মেয়র পোনোমারিয়ভকে উদ্ধৃত করে জানায়, রুশপন্থিদের হামলায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে৷
স্লাভিয়ানস্কের ১ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে অধিকাংশই রুশ ভাষাভাষী৷ শহরের প্রায় সব সরকারি ভবন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে৷ ফলে ইউক্রেন সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই সেখানে৷ সামরিক হামলার মাধ্যমে কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস সংকটকে আরো ঘনীভূত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন, কারণ, রাশিয়া আগেই রুশ ভাষাভাষীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে৷ শুক্রবার এক বিবৃতিতে স্লাভিয়ানস্কে ইউক্রেনের হামলা বন্ধ করার জন্য ইউরোপীয় সংস্থা ওএসসিই-র সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া৷
এদিকে ওএসসিই-র পর্যবেক্ষকদের রুশপন্থিরা এখনো স্লেভিয়ানস্ককে আটকে রেখেছে৷ আটক ব্যক্তিদের মধ্যে জার্মানি, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড আর চেক প্রজাতন্ত্রের পর্যবেক্ষকও রয়েছেন৷ তাঁদের মুক্ত করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সহায়তা চেয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তবে এখনো কোনো পর্যবেক্ষক স্লোভিয়ানস্ক থেকে বেরোতে পারেননি৷
রুশ ভাষাভাষী বেশি বলে স্লাভিয়ানস্ক ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সমর্থকদেরও ঘাঁটি৷ গত ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হন ইয়ানুকোভিচ৷ তারপর থেকে ক্রাইমিয়াকে ঘিরে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা৷ স্লাভিয়ানস্কে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর হামলায় এখনো কোনো রুশপন্থির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি৷
এসিবি/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)