স্মৃতিশক্তি না হারাতে য চাই
৩০ জুলাই ২০১৬টরন্টোর আলজাইমারস অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে গত সপ্তাহে প্রাথমিক গবেষণা ফলাফল তুলে ধরা হয়৷ মস্তিষ্কে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ডিমেনসিয়া বা স্মৃতিশক্তি লোপের মাত্রা কমায় এমনটাই বলা হয়েছে গবেষণার ফলাফলে৷
এর আগ পর্যন্ত কগনিটিভ মনোবিজ্ঞানী এবং স্নায়ুবিজ্ঞানীরা এ ধরনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, কম্পিউটারভিত্তিক চিন্তাযুক্ত প্রশিক্ষণ সফটওয়্যার বা ব্রেইন গেমস মানব আচরণে কোনো প্রভাব ফেলে না৷
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সমাজ বিজ্ঞান গবেষক ডক্টর জন কিং৷ ঐ গবেষণায় ২৭৮৫ জন স্বাস্থ্যবান বয়স্ক ব্যক্তিকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছিল৷ একদলকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল, অন্য দলকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো এবং তৃতীয় দলকে কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুত মনে রাখার প্রক্রিয়া শেখানো হয়েছিল৷
এই স্পিড ট্রেইনিং, যেখানে আসলে মনিটরে কিছু ছবি দেখিয়ে সেগুলোকে কিসের ছবি তা বলতে বলা হয়েছিল৷ তবে, এসময় মনিটরে দ্রুত ছবিগুলো আসা-যাওয়া করছিল৷ সঠিক উত্তর দিলে আরও কঠিন হতো পরের ধাপ৷ ৫ সপ্তাহে এক ঘণ্টার ১০টি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল দল তিনটিকে৷ এই ট্রেইনিং-এর এক বছর পরে কয়েকজনকে চারটি অতিরিক্ত সেশন করানো হয়েছিল৷ আর দু'বছর পরে আরো চারটি৷
বিজ্ঞানীরা এটা পরীক্ষা করে দেখছিলেন এ ধরনের প্রশিক্ষণের ফলে তাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রতিদিনের অন্যান্য কাজে কোনো পরিবর্তন আসে কিনা৷ ৬টা ধাপে এগুলো দেখা হয়েছে৷ প্রশিক্ষণ দেয়ার সাথে সাথে, এক বছর পর, দু'বছর পর, তিন বছর পর, পাঁচ বছর পর এবং ১০ বছর পর৷
২০১৪ সালে গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যৌক্তিক এবং স্পিড প্রসেসিং গ্রুপে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি৷ এরপর এই গবেষণার তথ্য প্রমাণ সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক কিনে নেন৷ সেখানকার গবেষক ড. জেরি এডওয়ার্ডস তথ্যগুলো দ্বিতীয়বারের মত বিশ্লেষণ করেন৷ তিনি দেখেন, স্পিড ট্রেনিং এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছে তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি ৩৩ ভাগ কম, অন্য দল দু'টোর তুলনায়৷ আর যারা ১১ বা তার বেশি ট্রেনিং নিয়েছে, তাদের ঝুঁকি ৪৮ ভাগ কম৷
এপিবি/ডিজি (রয়টার্স)
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনি কী করেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷