স্বামীর যৌতুক মামলা, স্ত্রী এখন কারাগারে

স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বামী দেনমোহরের সব টাকা পরিশোধ করার পরও তিনি বারবার সেই টাকা দাবি করে নানাভাবে স্বামীকে নির্যাতন করেছেন৷ পরে স্বামীর করা মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের একটি আদালত৷

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. কফিল উদ্দিন এই আদেশ দেন বলে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়৷ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নূর মোহাম্মদ গত ১৫ জুলাই চাঁদপুর আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ২১ বছর বয়সি স্ত্রী মনি আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে৷

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ জুন নুর মোহাম্মদের সঙ্গে একই মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুরের দুলাল মিজির মেয়ে মনি আক্তার মিতুর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ে হয়৷ বিয়ের কাবিনের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়৷

পরবর্তীতে নুর মোহাম্মদ বাকি ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়৷ বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই মিতু তার স্বামীর কাছে বিভিন্ন ‘বাহানায়' কাবিনের বাকি অর্থ দাবি করেন৷ এক পর্যায়ে মিতু তার বাবার ঘর করার জন্য স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করে নেন৷

এসবের পরেও দাম্পত্য জীবনে শান্তি আসেনি, মিতু ও তার পরিবারের লোকজন দেনমোহরের দাবিতে নূর মোহাম্মদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন৷ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি বলে নূর মোহাম্মদের অভিযোগ৷  অভিযোগে বলা হয়, মিতু ও তার পরিবার আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মিতু তার সংসার করবেন না মর্মে তালাক চান৷

বাদীপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ রানা বলেন, "নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে এই দেনমোহরের টাকার কারণে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ি লোকজনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন৷ তিনি গত ১৫ জুলাই আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন৷ আদালত ওইদিনই মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মনি আক্তার মিতু ও তার ভাই মেহেদী হাছানের বিরুদ্ধে সমন জারি করে৷'' 

অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ বলেন, বৃহস্পতিবার এই মামলায় মিতু ও তার ভাই মেহেদী স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন৷ আদালত মিতুর ভাই মেহেদীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করে৷ তবে  মিতুর আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)