1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

স্পেনে পরিত্যক্ত বৃদ্ধাশ্রমে বিছানায় লাশ

২৪ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের কারণে ‘লকডাউন’ স্পেনে ‍বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে অসুস্থ মানুষেরা পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন৷ তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া সেনাসদস্যরা কয়েকজনের মৃতদেহ বিছানা থেকে উদ্ধার করেছেন বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷

https://p.dw.com/p/3Zy6h
ফাইল ফটোছবি: Reuters/COMUNIDAD DE MADRID

কেন অসহায় ওই বৃদ্ধ মানুষগুলোকে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ স্পেনে বৃদ্ধাশ্রমগুলো জীবাণুমুক্ত করতে গিয়ে হৃদয়বিদারক এ ঘটনার মুখোমুখি হন সেনাসদস্যরা৷ 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রবলস বলেন, ‘‘বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে থাকা বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর এবং অত্যন্ত অনমনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

‘‘সেনাসদস্যরা হঠাৎ করে সেগুলোতে গিয়ে এ অবস্থা দেখতে পায়৷ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীরা তাদের স্রেফ ফেলে রেখে চলে গেছে৷''

ইউরোপে করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোর একটি স্পেন৷ জন হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী সেখানে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন৷ মারা গেছেন দুই হাজার ৩১৮ জন৷ স্পেনে সোমবার একদিনে সর্বোচ্চ ৪৬২ জনের মৃত্যু হয়৷

স্পেনে এখন স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের দেহ প্রথমে হিমঘরে রাখা হচ্ছে এবং পরে প্রশাসন থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হচ্ছে৷ কিন্তু করোনার লক্ষণ নিয়ে মৃত্যু হলে মৃতদেহ বিছানাতে রাখা হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত না যথাযথ সুরক্ষা পোশাক পরে প্রশাসন থেকে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়৷

সবচেয়ে আক্রান্ত রাজধানী মাদ্রিদে এত মানুষ মারা যাচ্ছেন যে এই কাজে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে৷ সংকট দিন দিন এতটাই ‍খারাপ হচ্ছে যে মাদ্রিদ পৌরসভার ফিউনেরাল হোম থেকে সুরক্ষা যন্ত্রের অভাবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ সংগ্রহ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে৷ 

ইউরোপে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইটালির পরই আছে স্পেন৷ ইটালিতে সোমবারও ৬০২ জন মারা গেছেনে৷ মোট মৃত্যু ছয় ‍হাজার ৭৭ জন৷ তবে আশার কথা হচ্ছে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে৷ সরকারের দেশজুড়ে ‘লকডাউন' ঘোষণা এবং কঠোরহাতে তা কার্যকর করার ফল হয়তো ফলতে শুরু করেছে৷

এসএনএল/কেএম