1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সৌর বিদ্যুতে এবার চলছে সেচ পাম্প'

সমীর কুমার দে, ঢাকা২০ জুলাই ২০১৫

সৌর বিদ্যুতে শুধু বাতি, ফ্যান বা মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া নয়, চলছে সেচ পাম্পও৷ এতে করে প্রতিদিন ১৫ লাখ গ্যালন পানি উঠছে৷ কুষ্টিয়া, রংপুর ও দিনাজপুরে চলছে এই ‘ইরিগেশন পাম্প'৷

https://p.dw.com/p/1G1h7
Solakraftwerk Kalesija Bosnien und Herzegowina
ছবি: DW

শান্তিতে নোবেল জয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের সহ-উদ্যোক্তা এবং ‘বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন' বিএসআরইএ-এর সভাপতি ও ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন বিজিইএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দীপাল বড়ুয়া ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষৎকারে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুতের আদ্যপান্ত৷

‘সোলার হোম সিস্টেম'-এর এই জনক জানান, প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প সফল হয়েছে৷ অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সকল সেচ পাম্প চলবে সৌরবিদ্যুতে৷

সৌরশক্তিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ড. বড়ুয়া ইতিমধ্যে নানান আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশে কয়েক লাখ ‘ইরিগেশন পাম্প' চলে৷ এগুলোর অধিকাংশই ডিজেল চালিত৷ তবে কিছু কিছু বিদ্যুতেও চলে৷ বলা বাহুল্য, এগুলো ডিজেলে চললে কালো ধোয়া বের হয়, ব্যয় হয় প্রচুর অর্থের৷ আর ইরিগেশন মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ দেয়া হয় সেচ পাম্পে৷ ফলে দেশে তখন বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়ষ৷ কিন্তু এই পাম্পগুলো সোলারে চললে অর্থের অপচয় যেমন রোধ করা যাবে, পরিবেশও রক্ষা পাবে৷ তাই আমরা সেচ পাম্পগুলো সব সোলারে নিয়ে যেতে কাজ করছি৷ এর জন্য অবশ্য একটু সময় লাগবে৷''

গ্রামীণ শক্তির প্রতিষ্ঠাতা দীপাল বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ বা সোয়া ২ কোটি মানুষ ‘সোলার সিস্টেম' ব্যবহার করেন৷ আগামী দুই বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫ শতাংশে বা ৪ কোটি মানুষের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে৷ তিনি সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘‘এতদিন এই উদ্যোগ ছিল বেসরকারি পর্যায়ে৷ এখন এটা জাতীয় উদ্যোগ৷ কারণ সরকার সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যে টেস্ট রিলিফ (টিআর) বা কাজের বিনিময়ে খাদ্যের (কাবিখা) জন্য যে বরাদ্দ দিচ্ছে, তাতে সোলার প্যানেল স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এর বাইরেও সরকার এক বা দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বড় আকারের প্যানেল স্থানের উদ্যোগ নিয়েছে৷ এর অর্থ হলো, সরকার এই দিকে এখন বেশ ভালোই মনোযোগ দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷''

সৌর শক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম হবে এমনটাই প্রত্যাশা দীপাল বড়ুয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সূর্যের প্রখরতা অনেক বেশি৷ তাছাড়া অনেক বেশি সময় সূর্যের আলো যাওয়া যায়৷ ১৯৯৬ সালে এটি চালুর পর গত ২০ বছরে এর প্রসার অনেক বেড়েছে৷'' বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি বড় প্রতিষ্ঠানসহ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে এই বিদ্যুতের ব্যবস্থা৷

শুধু অর্থ সাশ্রয় বা পরিবেশবান্ধবই নয়, নারীর ক্ষমতায়নেও কাজ করছে এই সৌর বিদ্যুৎ৷ কিভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে দীপাল বড়ুয়া বলেন, ‘‘প্রতিটি সোলার প্যানেলে চার্জ কন্ট্রোলার লাগে৷ এগুলো তৈরি করছে নারীরা৷ পাশাপাশি সোলার প্যানেল চালানোর জন্য নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷ কারণ বাড়ির পুরুষরা নানা কাজে বাইরে থাকেন৷ বাড়িতে থাকেন নারীরা৷ ফলে এই প্যানেলটি তারাই দেখভাল করেন৷ আর ট্রেনিং প্রাপ্ত নারীরা শুধু নিজের বাড়ির সৌর প্যানেলই নয়, আশেপাশের বাড়ির প্যানেলগুলো সংস্কার করে অর্থ উপার্জন করছে৷ এই কাজে বিপুল সংখ্যক নারীর সম্পৃক্ততা রয়েছে৷''

জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিআইজেড প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌরশক্তি পৌঁছে দিতে দারুণভাবে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রামে যে ছোট আকারের ‘সোলার সিস্টেম' স্থাপন করা যায়, সেটা তারাই প্রথম দেখিয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় আকারের সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য তারা কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য