1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি কনস্যুলেটে ‘মারামারিতে’ প্রাণ হারান খাশগজি

২০ অক্টোবর ২০১৮

সাংবাদিক জামাল খাশগজিকে নিয়ে সৌদি আরবের প্রাথমিক তদন্তে এটাই বেরিয়ে এসেছে যে ইস্তনবুলে দেশটির কনস্যুলেটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ এই ঘটনায় এক ঊধ্বর্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত এবং ১৮ সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/36sSR
ছবি: picture-alliance/AP Photo

অবশেষে নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজির মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে সৌদি আরব৷ তুরস্কে দেশটির কনস্যুলেটে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ শনিবার এই সংবাদ প্রকাশ করেছে৷

সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটরের বরাতে সংবাদ সংস্থাটি লিখেছে, ‘‘জামাল খাশগজি এবং সৌদি কনস্যুলেটে তাঁর সঙ্গে যাদের আলোচনা হচ্ছিল, তাদের সঙ্গে কথোপকথন এক পর্যায়ে ‘মারামারিতে' রূপ নেয়, আর এতে তাঁর মৃত্যু হয়৷''

প্রসঙ্গত, গত দুই অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিঁখোজ ছিলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশগজি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবনযাপন করা এই সাংবাদিক সেদিন তাঁর তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ে করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন৷

তুরস্ক অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল যে খাশগজিকে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে৷ দেশটির সরকারপন্থি গণমাধ্যম এমন খবরও প্রকাশ করেছে, সাংবাদিককে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে একটি বিশেষ টিম তুরস্কে আসে এবং তাঁকে হত্যার পর দ্রুত ইস্তানবুল ত্যাগ করে৷ খাশগজিকে নির্যাতন করে হত্যার পর তাঁর মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম৷

খাশগজির মৃত্যুর খবর সৌদি আরব শুরুর দিকে স্বীকার করতে চায়নি৷ বরং বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে ‘উড়িয়ে' দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে দেশটি৷ কিন্তু, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্স বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকারের কাছে পরিষ্কার ব্যখ্যা চায়৷ গতসপ্তাহে একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায় যে খাশগজির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি৷

এদিকে, খাশগজির মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর তাঁর পরিবার, বাগদত্তা আর বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই বিয়োগান্তক ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাতে সময়মতো ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয় তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি৷''

উল্লেখ্য, খাশগজির মৃত্যুর খবর জানা গেলেও এখনো আরো অনেক কিছু জানা বাকি রয়ে গেছে৷ তিনি কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে মারা গেছেন, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা এবং কারা তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ আন্তর্জাতিক সমাজ এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷ সৌদি আরবেরর রাজপরিবারের সঙ্গে খাশগজির মৃত্যুর কোন সম্পর্ক প্রমাণ হলে পশ্চিমা সমাজের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টির আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)