সেমিফাইনালের আগে আপনার যা জানা দরকার
বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ আজ মঙ্গলবার মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম৷ আগামীকাল বুধবার ইংল্যান্ড খেলবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে৷
প্রথম ফাইনালের লক্ষ্য
বেলজিয়াম আর ক্রোয়েশিয়া এবার দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে৷ ১৯৮৬ বিশ্বকাপে বেলজিয়াম চতুর্থ হয়েছিল৷ আর ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া হয়েছিল তৃতীয়৷ ফলে দুই দলই এবার প্রথমবারের মতো ফাইনালে যাওয়ার চেষ্টা করবে৷
দ্বিতীয়বার সেরা হওয়ার লক্ষ্য
সেমিফাইনালের বাকি দুই দল ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে৷ তবে ফ্রান্স দু’বার ফাইনাল খেলেছে৷ এরমধ্যে ১৯৯৮ সালে ফাইনালে উঠে তারা চ্যাম্পিয়নই হয়েছিল৷ পরেরবার ২০০৬ সালে ফাইনালে ইটালির কাছে হেরে যায়৷ আর ১৯৬৬ সালে একবার ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড৷
তরুণ বনাম অভিজ্ঞ
ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৬৷ এবার শুধু নাইজেরিয়ার ফুটবলাররাই তাদের চেয়ে বয়সে তরুণ ছিল৷ অন্য দুই সেমিফাইনালিস্ট বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের গড় বয়স যথাক্রমে ২৭.৬ এবং ২৭.৯৷ তবে কোয়ার্টারে মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড় হিসেব করলে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার গড় বয়স একটু বেশিই হবে – যথাক্রমে ২৮.২ ও ২৯.২৷ তবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে বিষয়টি উল্টো – ২৫.১ ও ২৫.৬, অর্থাৎ একটু কম৷
বয়স যে কারণে ধর্তব্য
বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে ইটালি ২৮ বছরের বেশি গড় বয়সি ফুটবলারদের নিয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল৷ এই তথ্য কি ফ্রান্স আর ইংল্যান্ড সমর্থকদের খুশির একটি কারণ হতে পারে?
প্রিমিয়ার লিগ এগিয়ে
সেমিফাইনালের চার দলের ৯২ জন ফুটবলারের মধ্যে ৪০ জন খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে৷ পরবর্তী স্থানগুলোতে যথাক্রমে আছে স্পেনের লা লিগা (১২), ফ্রান্সের লিগ ওয়ান (১১), জার্মানির বুন্ডেসলিগা (৯) ও ইটালির সিরি আ (৮)৷ তথ্যটি একটু বিস্ময়ের, যখন আপনি জানবেন যে, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১০ মরসুমে সেরা হওয়া ক্লাবগুলোর মাত্র একটি ইংল্যান্ডের!
শীর্ষে টটেনহ্যাম
ইংলিশ প্রিমিয়ারের এই ক্লাবটির মোট নয় জন খেলোয়াড় সেমিফাইনালের চার দলের সদস্য৷ এর মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন পাঁচজন – হ্যারি কেন, ডেলে আলি, এরিক ডায়ার, কিরেন ট্রিপিয়ার ও ড্যানি রোজ৷ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জেনে রাখা ভালো, টটেনহ্যামের কোচ হচ্ছেন মাউরিসিউ পচেটিনো, যিনি একজন আর্জেন্টাইন৷
‘হ্যান্ড অফ গড’
কথাটি শুনলেই মারাদোনার কথা মনে আসে৷ তবে বেলজিয়ামের গণমাধ্যম এবার এটি তাদের গোলরক্ষকের মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যবহার করেছে৷ ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ আগে নেইমারের একটি শট ঠেকিয়ে দেন কুর্টুয়া৷ সেটির বর্ণনা করতে গিয়েই ‘হ্যান্ড অফ গড’-এর আবির্ভাব৷ কুর্টুয়ার বিরুদ্ধে এবার নামছে ফ্রান্স৷ তাদের গোলরক্ষক লোরিস উরুগুয়ের বিপক্ষে ‘সম্ভবত এবারের বিশ্বকারের সেরা গোল ঠেকানো’র কৃতিত্ব দেখিয়েছেন৷