সেনাপ্রধানের বয়স বিতর্ক
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২বয়স বিতর্কের আইনি লড়াই-এ এক কদম এগিয়ে রইলেন সেনাপ্রধান ভি.কে সিং৷ তাঁর বয়স নির্ধারনের ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ ৩০শে ডিসেম্বরের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে জেনারেল ভি.কে সিং-এর বক্তব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নাকচ করে দিয়েছে, তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে এটা স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থি৷ ঐ নির্দেশিকায় সেনাপ্রধানের হিসেব মত তাঁর বয়স এক বছর বাড়িয়ে দেখানো হয়৷
৩০শে ডিসেম্বরের নির্দেশিকা সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে৷ ঐ নির্দেশিকা সরকার তুলে নিতে রাজি আছে কিনা - তা আদালতকে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন সুপ্রিম কোর্ট৷ সেটা জানাতে হবে সাত দিনের মধ্যে৷ যদি সরকার নির্দেশিকা তুলে নেন, তাহলে জেনারেল সিং আবার সরকরের কাছে তাঁর জন্মতারিখ সংশোধনের অনুরোধ জানাতে পারেন৷
সেনাপ্রধানের আইনজীবী বলেন সুবিধা অসুবিধার প্রশ্ন নয়৷ বিষয়টি হলো পদ্ধতিগত নিয়মবিধি মেনে চলার৷ আদালত ন্যায়বিচারের লক্ষ্যেই রায় দেবেন৷ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সোনি মনে করেন, রাজনীতিকদের উচিত সেনাবাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা৷ সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক বৃত্তে আনা ঠিক নয়৷
আসলে সরকারি রেকর্ডে জেনারেল সিং-এর বয়স সংক্রান্ত দুরকম তথ্য নথিভুক্ত৷ ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট অনুসারে তাঁর জন্মতারিখ ১০ই মে, ১৯৫১ এবং ইউপিএসসি প্রবেশিকা পরীক্ষায় তাঁর বয়স ১০ই মে, ১৯৫০ বলে উল্লেখিত৷ আর সেটাই প্রামাণ্য বলে ধরে নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷
সরকারের বক্তব্য, সেনাপ্রধানের উচিত ছিল আদালতে না গিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর জুডিশিয়াল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া৷ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সশস্ত্র বাহিনীর জুডিশিয়াল প্যানেল জেনারেল সিং-এর জুনিয়ার৷ সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে আসাটা তাঁর অন্যায় নয়৷ প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেলের মতে, সরকার এখন যে পদক্ষেপই নিক না কেন, সেটা হবে সরকারের পিছু হটা৷
সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন শীর্য অফিসাররা মনে করেন যে, উভয় পক্ষের সম্মান রক্ষা করার উপায় হলো এখন আউট-অফ-কোর্ট সেটলমেন্ট৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ