সেতার বাদন
৪ জানুয়ারি ২০১৩ছেলে ভুলানো সুরটা আমাদের আশৈশব চেনা৷ ‘টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার ওয়াট ইউ আর....'৷ কিন্তু এটা যে আদতে বিখ্যাত ইউরোপীয় সুরকার ভল্ফগাং আমাদেউস মোৎসার্টের সৃষ্টি, সেটা কজনই বা জানেন? জানতেন না সেতারি পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়ও, যাঁর সদ্য প্রকাশিত অ্যালবাম, সেতারে ধ্রুপদী পাশ্চাত্ত্য সংগীতের সুর ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের হৃদয় জিতেছে৷ এই সুর সংকলন পূর্বায়নের নিজের জন্যও ছিল এক শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা৷
পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগুরুরা ছিলেন পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উস্তাদ আলি আকবর খানের মতো সংগীত জগতের দিকপাল শিল্পীরা, যাঁরা চিরকালই ধ্রুপদী সংগীতে অনুগত থেকেছেন৷ সেখানে আধুনিক প্রজন্মের পূর্বায়ন বা তাঁর সমসাময়িক শিল্পীরা সবাই অনেক নতুন পথের সন্ধানে ব্রতী, তাঁরা অনেক বেশি সাহসী পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে৷
সেতারে ধ্রুপদী পাশ্চাত্য সংগীতের সুর শ্রোতাদের মন কেড়েছে৷ এরপর কি পশ্চিমের ধাঁচে প্রাচ্যের বাদ্যযন্ত্রের পুরোদস্তুর একটা অর্কেস্ট্রার কথাও ভাববেন৷ পূর্বায়ন বললেন, তেমন ভাবনাও তাঁর মাথায় আছে৷
সংস্কৃতি যত বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যায়, ততই তাঁর আয়ু বাড়ে, ততই তার বিকশিত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়৷ পূর্বায়নের মতো এই প্রজন্মের শিল্পীরা সংস্কৃতির সেই বৈশ্বিক ধারণাতেই বিশ্বাস রাখেন৷ তাঁদের বাজনাতে সেই আন্তর্জাতিকতার সুর ছড়ায়, মিলমিশ ঘটে দ্বন্দ্বে দীর্ণ এই পৃথিবীর৷