সুন্দরবনে ক্যারাভান ট্যুর থেকে রংপুরে অটোরিকশা
৩০ জুন ২০১১সুন্দরবন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে পয়লা নম্বরে৷ জনকণ্ঠ বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ একদিকে যেমন ভোটদানকে সফল করতে মোবাইল এসএমএস কার্যক্রম শুরু হয়েছে, অন্যদিকে তেমন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন স্বয়ং প্রচারণায় নেমেছে৷ মূল অস্ত্র হবে ৪০ দিনের একটি ক্যারাভান ট্যুর ফর সুন্দরবন৷ চলবে দু'টি পর্বে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অবধি৷ সঙ্গে রয়েছে বেঙ্গল ট্যুরস লিমিটেড৷
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রীও এসেছিলেন৷ গোলাম মোহম্মদ কাদের বললেন, বিশ্বে বাংলাদেশের তেমন পরিচিতি নেই৷ দারিদ্র্য, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের দেশ হিসেবেই পরিচিত৷ এই প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন দেশকে পরিচিত করার একটা সুযোগ৷ তিনি নিজেও নাকি প্রথমে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেননি৷ পরে বুঝেছেন, সুন্দরবনের নামেই বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি পাবে৷
রংপুরে অটোরিকশার দাপট নিয়ে সমকালের প্রতিবেদন৷ সমস্যাটা এই: রংপুর বিভাগে হাজার হাজার লাইসেন্স-প্রাপ্ত এবং অননুমোদিত অটোরিকশা চলাচল করছে৷ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে লাইসেন্স লাগে কিনা, পুলিশও অনেক ক্ষেত্রে তা জানে না৷ অনভিজ্ঞ চালকদের কারণে দুর্ঘটনা তো ঘটছেই৷ সঙ্গে রয়েছে, প্রতিদিন ১২ লাখ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ খরচ হওয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে৷ এছাড়া বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়া খুঁটি থেকে তার টেনে ব্যাটারি চার্জ চলেছে, কাজেই রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে৷
ইয়াবা, ফেনসিডিল সত্ত্বেও ঢাকায় গাঁজাই এখনও মাদকের তালিকায় প্রথম অবস্থানে৷ ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রথম আলোকে তা'ই বলা হয়েছে৷ তবে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাদকের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি৷ গাঁজার পর আসছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও শিরায় গ্রহণ করার মতো বিভিন্ন ধরনের মাদক, যেমন লুপিজেসিক ও টিডিজেসিক ইনজেকশন৷
এই প্রবণতার কারণ দর্শিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর তাদের ‘আন্তর্জাতিক মাদক প্রতিবেদন ২০১০'-এ৷ ইউএনওডিসি বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি মাদকের উৎপাদন কমেছে৷ দ্বিতীয়ত, কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাদক সহজলভ্য উপাদান দিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা যায়৷
ওদিকে জীবনে গতির খোঁজে তরুণরা তাদের জীবন নষ্ট করছে এই সব উত্তেজক মাদকের ফাঁদে পা দিয়ে, বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই