সুইডেন নিয়ে এর্দোয়ান-স্টলটেনবার্গ বৈঠক
৫ জুন ২০২৩শনিবার তৃতীয়বার তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেছেন রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান। সেই উপলক্ষে একাধিক পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আংকারা গেছিলেন। ছিলেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। রোববার এর্দোয়ান এবং তুরস্কের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ন্যাটো সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও এদিন মূলত একটি বিষয়ের উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। এর্দোয়ানের কাছে তার আর্জি, সুইডেনকে ন্যাটোয় ঢোকানোর বিষয়ে তুরস্ক আরেকটু নমনীয় হোক। বস্তুত, তুরস্কের আপত্তির কারণেই সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া যাচ্ছে না।
বৈঠকের পর এর্দোয়ান কোনো মন্তব্য না করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক অভিমত পরিবর্তন করতেও পারে।
এদিনের বৈঠকে এর্দোয়ান আবার জানিয়েছেন যে, সুইডেনের একটি অংশ কুর্দ যোদ্ধাদের সমর্থন করে। এর অর্থ, তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এবং এই কারণেই সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান তুরস্ক মেনে নেবে না।
স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, গত কয়েকমাসে সুইডেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। ফলে তুরস্ক এবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় রাজনীতিতে সমদূরত্বের নীতি নিয়ে চলছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা পুরনো নীতি থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও সুইডেনকে নিয়ে আপত্তি জানায় তুরস্ক।
স্টলটেনবার্গ বলেছেন, সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিলে সুইডেনের যেমন সুবিধা হবে, তেমন তুরস্কেরও সুবিধা হবে। সামগ্রিকভাবে ন্যাটো আরো শক্তিশালী হবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)