সুইডেনে শুরু ইয়েমেনের শান্তি আলোচনা
৬ ডিসেম্বর ২০১৮বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের উত্তরে রিমবো নামের শহরে বিবাদী দুই পক্ষের এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়৷ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত চলছে ইয়েমেনে৷ দুই পক্ষের সংঘাতে দেশটি এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে৷
ইয়েমেন সরকারের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস ও হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন৷
২০১৪ সালের শেষ থেকে হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে নেয়৷ সেই থেকে সংঘর্ষ-সংঘাতের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে৷ এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মুখোমুখি বসেছিল দুই পক্ষ৷ কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি৷ এবারও সেপ্টেম্বরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শান্তি আলোচনা আয়োজনের চেষ্টা করেন গ্রিফিথস৷ কিন্তু বিদ্রোহীরা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি৷
‘‘অনেক ব্যর্থ চেষ্টার পর দুই পক্ষকে এক জায়গায় আনা গেছে এবং ইয়েমেনের শান্তি আলোচনা আবার শুরু করা গেছে,'' বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে লেখেন গ্রিফিথস৷
তিনি বলেন যে, আলোচনায় তাঁর চেষ্টা থাকবে যে, দুই পক্ষ যেন পশ্চিমের হোদেইদা শহর ও এর বন্দরকে সংঘাতের হাত থেকে ‘ছাড় দেয়' এবং স্বাভাবিকভাবে এর কার্যক্রম চলতে দেয়৷
ইযেমেনের সৌদি সমর্থিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল-ইয়ামানি বলেন, তাঁদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, বিদ্রোহীরা পশ্চিম উপকূল থেকে সরে যাবে এবং বন্দরটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে৷
গত মাসে গ্রিফিথস বলেছিলেন যে, হুতি বিদ্রোহীরা বন্দরটি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন৷ গত জুনে এই বন্দর উদ্ধারে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন ফোর্স ব্যাপক অভিযান চালায়৷ এ বন্দর দিয়ে ইয়েমেনের ৮০ ভাগ পণ্য আমদানি করা হয়৷
২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন ফোর্স যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এই কোয়ালিশনের হামলায় শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক জনগণ মারা যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক৷
সুইডেনের আলোচনায় বন্দর ছাড়াও যে বিষয়গুলো থাকছে, সেগুলো হলো, রাজধানী সানা'র বিমানবন্দর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর তায়েজ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা এবং বন্দি বিনিময়৷
জেডএ/এসিবি (ডিপিএ)