1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চোরেদের পোয়াবারো

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মানির কোলোন শহরের আশেপাশের অঞ্চলে বড় অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি বিদেশি চোরদের ধরপাকড় করেছে পুলিশ৷ শেঙেন চুক্তির কল্যাণে মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে দূর থেকেও চোরেরা এখানে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1B9i0
Symbolbild Deutschland Gewalt Gefängnis
ছবি: picture-alliance/dpa

চোর নিজের পাড়ায় চুরি করলেই সমস্যা, কখন যে ধরা পড়ে যাবে তার নেই ঠিক! কিন্তু বেপাড়ায় সেই ঝুঁকি কম৷ বামাল সমেত পালাতে পারলেই হলো৷ ধরা পড়ার ভয় প্রায় নেই বললেই চলে৷ সীমাহীন ইউরোপেও চোর-জোচ্চররাও আরও বেশি করে সেই পথই বেছে নিচ্ছে৷ ইউরোপের শেঙেন এলাকার ভেতরে সীমানায় কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে৷

তবে চোর-পুলিশের খেলাও চলছে৷ সীমাহীন ইউরোপে বিভিন্ন দেশের পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা, সাধারণ তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার – এ সব বেড়ে চলেছে৷ ফলে চোর ডালে-ডালে এগোলে পুলিশও এগোতে চায় পাতায়-পাতায়৷

জার্মানির কোলোন শহরকে কেন্দ্র করে এমনই একটি পুলিশি অভিযান দেখা গেলো৷ তাতে বেশ কয়েকজন ‘মোবাইল' বা ভ্রাম্যমাণ চোরেদের পাকড়াও করতে পেরেছে পুলিশ৷ ২,৮০০ গাড়িতে প্রায় ৩,৮০০ পুলিশকর্মী এতে অংশ নেন৷ ধরা পড়েছে ৩০ জন অপরাধী, যাদের মধ্যে আগে থেকেই ১৩ জনের খোঁজ চলছিল৷ ফেডারেল পুলিশ, শুল্ক দপ্তর, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস-এর পুলিশ কর্মীরাও এই অভিযানে অংশ নেন৷

এমন অভিযানে প্রায়ই কেঁচো খুঁড়তে সাপ পাওয়া যায়৷ এবারেও চাই হয়েছে৷ একটি গল্ফ ক্লাবে চুরি করার সময় চারজন চোর হাতেনাতে ধরা পড়ে৷ তাদের গাড়িতে দামি গল্ফ সেট ছাড়াও ল্যাপটপ ইত্যাদি অনেক চোরাই মালপত্র পাওয়া যায়৷ রুমেনিয়া থেকে আসা এই দল আশেপাশের এলাকায় আরও অনেক ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ রুমেনিয়ার আরও একটি দলকে ধরতে পেরেছে পুলিশ৷ তাদের গাড়িতেও অনেক কিছু পাওয়া গেছে৷ বেলজিয়াম সীমান্তে আরেকটি সন্দেহজনক গাড়ি আটক করে পুলিশ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি সহ চোরেদের একটি দলকে আটক করেছে৷

এসবি/ডিজি (ওটিএস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য