1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সির্তে, বানি ওয়ালিদে গাদ্দাফি সমর্থকদের ব্যাপক প্রতিরোধ

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১

একদিকে চলছে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া৷ আরেকদিকে চলছে চরম প্রতিরোধ৷ বলছি লিবিয়ার কথা৷ পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও রাজধানী ত্রিপোলিতে নতুন সরকার ঘোষণার কাজ চলছে৷

https://p.dw.com/p/12bWg
সির্তেতে প্রতিরোধছবি: dapd

সরকার গঠন

আগেই জানানো হয়েছিল যে, রবিবার একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে৷ কিন্তু বিভিন্ন গোত্রের সঙ্গে আলোচনা শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে সেটা সম্ভব হয়নি৷ তবে কথাবার্তা এখনো চলছে এবং আজকের মধ্যেই সরকারের নাম ঘোষিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ দেরির জন্য দায়ী করা হচ্ছে এনটিসির মাহমুদ জিবরিলকে৷ যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ বিভিন্ন গোত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকারের জন্য প্রতিনিধি ঠিক করার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু সেটা না হওয়ায় জিবরিলের সহকর্মীরা তাঁর সমালোচনা করেছেন৷ তবে এরপরও নতুন সরকারে জিবরিলেরই প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আর আলি তারহুনিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, ওসামা আল-জুউইলিকে প্রতিরক্ষা এবং আবদেল রহমান বিন ইয়েজাকে তেলমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে৷

সির্তে যুদ্ধ

ত্রিপোলিতে যখন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে তখন লিবিয়ার অন্য অংশে চলছে যুদ্ধ৷ যদিও এনটিসির এক সামরিক মুখপাত্র বলছেন শীঘ্রই তারা পুরো লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেবেন৷ কিন্তু সেটা সম্ভব কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ কেননা গাদ্দাফির জন্মভূমি সির্তে আর বানি ওয়ালিদে এখনো ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে রয়েছে এনটিসির যোদ্ধারা৷ দুই-তিন ধরে একই অবস্থা বিরাজ করছে৷ যোদ্ধারা দল বেঁধে শহরে ঢুকছে৷ তারপর কিছুক্ষণ গোলাগুলি৷ তারপর আবার ফিরে আসা৷ এ-ই চলছে৷ তবে যোদ্ধাদের একেক জনের কাছ থেকে একেক ধরণের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে৷ কেউ বলছেন তারা অনেকদূর এগিয়েছেন৷ আর কেউ বলছেন কোনো অগ্রগতিই হয়নি৷ অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে এই দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে৷ জানা গেছে, সির্তেতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে৷

NO FLASH Blair und Gaddafi Libyen 2004
এটা ছিল আনুষ্ঠানিক, তবে গোপনেও বৈঠক হয়েছে এই দুজনের মধ্যেছবি: AP

টনি ব্লেয়ার-গাদ্দাফি সম্পর্ক

গাদ্দাফির সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সম্পর্ক নিয়ে লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর ব্লেয়ার ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দুইবার গোপনে গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করেছেন৷ ব্লেয়ারকে লিবিয়ায় নিয়ে যেতে সিয়েরালিওনে নাকি বিমান পাঠিয়েছিলেন গাদ্দাফি৷ কুখ্যাত লকারবি বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিবিয়ার মেগরাহির মুক্তি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা যায়৷ ব্লেয়ারের মুখপাত্র ব্লেয়ারের লিবিয়া সফরের কথা স্বীকার করলেও বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তিদূত হিসেবে আফ্রিকার সমস্যা নিয়ে কথা বলতে তিনি লিবিয়া গিয়েছিলেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য