মার্কিন সিরিয়া-নীতি নিয়ে প্রশ্ন
১১ এপ্রিল ২০১৭সিরিয়ায় নিরীহ মানুষের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের সাম্প্রতিক ঘটনা গোটা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷ বাশার আল-আসাদ প্রশাসনকে এই হামলার জন্য দায়ী করে একক সামরিক অভিযান চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
সিরিয়ার এক বিমানঘাঁটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসনের সিরিয়া নীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷ ট্রাম্প নিজে এ বিষয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন৷ তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন৷ হোয়াইট হাউসের সূত্র অনুযায়ী দুই নেতাই ট্রাম্প-এর সামরিক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷
ম্যার্কেল-এর দপ্তর অবশ্য এই আলোচনা সম্পর্কে কোনো বিবৃতি দেয় নি৷ উল্লেখ্য, গত বুধবারই ট্রাম্প ও ম্যার্কেল টেলিফোনে কথা বলেছিলেন৷ ম্যার্কেল এখনো সরাসরি সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখেন নি৷ তবে জার্মানি সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের উপর বেশি জোর দিয়ে আসছে৷
মঙ্গলবার ইটালির লুকা শহরে জি-সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সিরিয়া বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সার্বিক উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে বিভ্রান্তি কাটছে না৷ তাছাড়া একক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওয়াশিংটন আরও সামরিক পদক্ষেপ নেবে কিনা, এই সংকটের ফলে ঘরছাড়া শরণার্থীদের আশ্রয়ের কী ব্যবস্থা হবে, এ সব প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসন নীরব রয়েছে৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন-এর সঙ্গে আলোচনার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সিরীয় ও রুশ সামরিক বাহিনীর উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়ে কথা চলছে৷ এমনকি অ্যামেরিকা সিরিয়ার উপর আরও হামলা চালাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জনসন৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)