ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
১ অক্টোবর ২০১২আশঙ্কার পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন ওয়ালিদ মুয়াল্লেম৷ সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারের বলেছেন, ‘‘এই (রাসায়নিক অস্ত্রের) ব্যাপারটি পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের উদ্ভাবন৷’’ বৈরুতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়াদিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সবার কাছে একটা প্রশ্নই রেখেছেন, ‘‘সিরিয়ার যদি এই রাসায়নিক অস্ত্র থেকেও থাকে, সেটা আমরা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবো তা কী করে সম্ভব?’’
মুয়াল্লেমের আশঙ্কা, এমন এক আজগুবি কথা তুলে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলা চালাতে চায়৷ ২০০৩ সালে একই অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল যৌথবাহিনী৷ পরে অবশ্য ইরাকে তেমন কোনো অস্ত্রের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিহত হওয়ার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র এতদিন যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিয়ে এসেছে তার বিষটা কেমন, তা বোধহয় নিজেরাই টের পেতে শুরু করেছে৷’’ এসময় আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে মুয়াল্লেম বলেন,‘‘ কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আফগানিস্তান থেকেও তাঁরা শিক্ষা নেয়নি৷’’ এ সময় কাতার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি মদদ দেয়ার অভিযোগ তোলেন মুয়াল্লেম৷ কাতার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সিরিয়ার লোকজনকে মারতে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের মারতে, এখানকার অবকাঠামো ধ্বংস করে দিতে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে যাচ্ছে কাতার৷’’
তুরস্কের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সিরিয়ায় যত হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তার বেশিরভাগেরই উৎস তুরস্ক৷’’ ওয়ালিদ মুয়াল্লেম মনে করেন, বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে কাতার, তুরস্ক এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, না নিলে সন্ত্রাস চলছে, চলবেই৷
এদিকে সোমবার সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত কুয়ামিশি শহর কেঁপে ওঠে আত্মঘাতী বোমা হামলায়৷ সেখানে একটি গাড়ি উড়ে গেলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে দিনটা মোটেই রক্তপাতহীন যাচ্ছে না৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর বিমান হামলায় ১৭ জন মারা গেছে ইদলিব রাজ্যে৷ বিদ্রোহীদের দখল করে নেয়া এ রাজ্যে নিহতদের মধ্যে পাঁচটি শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)