সিরিয়ায় গণভোট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২তৃতীয় দফায় গণভোট
রবিবারের গণভোট বাশার আল আসাদ ক্ষমতাসীন হওয়ার প্রক্রিয়ায় তৃতীয় দফার আয়োজন৷ সর্বপ্রথম ২০০০ সালে আয়োজিত গণভোটে ৯৭.২৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাশার আল আসাদ৷ এর সাত বছর পর অনুষ্ঠিত গণভোটে ৯৭.৬২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন আসাদ৷ তবে এবার বাকি সাত বছর না পেরোতেই গণবিক্ষোভের মুখে সংকট মোকাবিলায় সাংবিধানিক সংস্কার অনুমোদনের জন্য গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিরিয়ায়৷ আজকের ভোটে তা অনুমোদিত হলে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার পথ সুপ্রশস্ত হবে বাশার আল আসাদের জন্য৷
বিরোধীদের গণভোট প্রত্যাখ্যান
তবে বিরোধীদের কিছুটা শান্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া চালুর কিছু বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত সংবিধানে৷ আর এই সংবিধান অনুমোদনে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে৷ বারো ঘণ্টা ভোট গ্রহণ চলবে৷ অপেক্ষাকৃত শান্ত শহরগুলোতে সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে ভোটারদের৷ তবে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এটিকে আসাদের একটি কৌশল হিসেবে অভিহিত করে গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে৷
গণভোটের দিনে সহিংসতা
একদিকে গণভোট চললেও অনেকগুলো শহরে সরকারি বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া গেছে৷ সাথে রয়েছে সরকারি সেনাদের সাথে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষের ঘটনা৷ ফলে শুধুমাত্র রবিবারেই সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের অন্তত ৩১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, টানা চতুর্থ সপ্তাহে পৌঁছেছে হোমস শহরে সরকারি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ঘটনা৷
রবিবার সেখানে সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত নয় জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ আর বিদ্রোহী সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে চার জন সেনা সদস্য৷ এছাড়া দারা শহরের দায়েল, হিরাক, খিরবত গাজাল ও নাইমা, ইদলিব এবং দির-ইল-জুর এলাকায় সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এসব এলাকায় আরো আট জন সাধারণ মানুষ এবং দশ জন সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম