1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় গণভোট

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিক্ষোভ থামাতে নতুন সংশোধিত সংবিধানের উপর গণভোট আয়োজন করেছেন আজ৷ শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে সিরিয়ার মানুষ৷ তবে বিভিন্ন শহরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/14ANx
A Syrian woman casts her ballot paper at a polling station during a referendum on the new constitution, in Damascus, Syria, Sunday Feb. 26, 2012. Syrians began voting Sunday on a new draft constitution aimed at quelling the country's uprising by ending the ruling Baath Party's five-decade domination of power, but the opposition announced a boycott and clashes were reported across the country. In regions like the restive central city of Homs, where shelling by government forces has left hundreds dead, or the northwestern province of Idlib and the southern region of Daraa where rebels clash frequently with the security forces, turnout is likely to be minimal. (AP Photo/Muzaffar Salman)
সিরিয়ার গণভোটছবি: AP

তৃতীয় দফায় গণভোট

রবিবারের গণভোট বাশার আল আসাদ ক্ষমতাসীন হওয়ার প্রক্রিয়ায় তৃতীয় দফার আয়োজন৷ সর্বপ্রথম ২০০০ সালে আয়োজিত গণভোটে ৯৭.২৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাশার আল আসাদ৷ এর সাত বছর পর অনুষ্ঠিত গণভোটে ৯৭.৬২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন আসাদ৷ তবে এবার বাকি সাত বছর না পেরোতেই গণবিক্ষোভের মুখে সংকট মোকাবিলায় সাংবিধানিক সংস্কার অনুমোদনের জন্য গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিরিয়ায়৷ আজকের ভোটে তা অনুমোদিত হলে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার পথ সুপ্রশস্ত হবে বাশার আল আসাদের জন্য৷

বিরোধীদের গণভোট প্রত্যাখ্যান

তবে বিরোধীদের কিছুটা শান্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া চালুর কিছু বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত সংবিধানে৷ আর এই সংবিধান অনুমোদনে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে৷ বারো ঘণ্টা ভোট গ্রহণ চলবে৷ অপেক্ষাকৃত শান্ত শহরগুলোতে সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে ভোটারদের৷ তবে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এটিকে আসাদের একটি কৌশল হিসেবে অভিহিত করে গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে৷

গণভোটের দিনে সহিংসতা

একদিকে গণভোট চললেও অনেকগুলো শহরে সরকারি বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া গেছে৷ সাথে রয়েছে সরকারি সেনাদের সাথে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষের ঘটনা৷ ফলে শুধুমাত্র রবিবারেই সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের অন্তত ৩১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, টানা চতুর্থ সপ্তাহে পৌঁছেছে হোমস শহরে সরকারি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ঘটনা৷

রবিবার সেখানে সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত নয় জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ আর বিদ্রোহী সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে চার জন সেনা সদস্য৷ এছাড়া দারা শহরের দায়েল, হিরাক, খিরবত গাজাল ও নাইমা, ইদলিব এবং দির-ইল-জুর এলাকায় সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এসব এলাকায় আরো আট জন সাধারণ মানুষ এবং দশ জন সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য