ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে শরণার্থীরা
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ-এর মুখপাত্র ক্রিস গানেস জানান, এ সপ্তাহান্তে দামেস্কের ইয়ারমুক শিবিরে আরো কমপক্ষে পাঁচজন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ এর আগে খাদ্য এবং ওষুধপত্র পাঠাতে না পারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত আরো দশ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল সংস্থাটি৷ ক্রিস গানেস বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পাঠাতে না পারলে সেখানে মুতের সংখ্যা আরো বাড়বে৷
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণের ওই অঞ্চলটি বিদ্রেহীদের নিয়ন্ত্রণে৷ গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী৷ ফলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো শরণার্থীদের কাছে ত্রাণ সাগ্রী পৌঁছাতে পারছে না৷ এ কারণে ২০ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি শরণার্থী পড়েছেন চরম সংকটে৷ পুষ্টিহীনতা দেখা দিচ্ছে মারাত্মকভাবে, দিন দিন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ সপ্তাহান্তে ইয়ারমুক শিবিরে মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ, একজন প্রতিবন্ধী এবং একজন নারী৷
দক্ষিণ দামেস্কের এই শরণার্থী শিবির সম্পর্কে কয়েকদিন আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ইউএনআরডাব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি৷ সেখানকার শরণার্থীদের অবস্থা ‘ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে' – এ কথা জানিয়ে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা না করলে শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা করা যাবেনা বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷
সিরিয়ায় পাঁচ লক্ষের মতো ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছে৷ তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি চলমান যু্দ্ধের কারণে গৃহহারা৷ ২০১১ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ মারা গেছে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)