সিগারেট টেনে অসুস্থ সলমন, বাতিল ছবির শ্যুটিং
৫ মার্চ ২০১০সলমন আর সিগারেট৷ এ দুটোকে আলাদা করা মুশকিল৷ চেহারায় প্রচুর ব্যায়ামের ছাপ, বেশি বেশি পেশী, সেসবই ঠিক৷ পর্দায় সলমন নায়ক৷ বহু গুন্ডাকে ঠেঙিয়ে ঠান্ডা করতে ওস্তাদ৷ কিন্তু সিগারেট হল নায়কের ব্যাপক নেশা৷ এমনই সে নেশার বাড়াবাড়ি যে আগুনের দৃশ্যে শ্যুটিং করতে করতে নায়ক একেবারে অসুস্থ এবং হাসপাতালে৷
নিজের ভাই আরবাজ খানের ছবি দাবাং বা দাবানল-এর শ্যুটিং চলছিল মহারাষ্ট্রের ওয়াইতে৷ দাবানল নিয়ে ছবিতে তো আগুনের দৃশ্য থাকবেই৷ তো, সেরকমই এক দৃশ্যে নায়কের বুকে এমন ধোঁয়া ঢুকে গেল যে তাঁকে নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে৷ সেখানে বেশ সময় লাগল ঠিকঠাক হতে৷ আপাতত শ্যুটিংও বাতিল৷ ডাক্তাররা বলেছেন, চাই বিশ্রাম৷ যার মানে কিছুদিন পর্দায় গুন্ডা ঠ্যাঙানোর কাজে বিরতি৷
শুধু বিশ্রামই নয়, ডাক্তারদের পরামর্শ, সলমনের উচিত অবিলম্বে সিগারেট ছেড়ে দেওয়া৷ কারণ, ফুসফুসের অবস্থা নাকি তেমন সুবিধের নয় অতিরিক্ত ধূমপায়ী সলমন খানের৷ বাইরে পেটানো চেহারা হলেও ভিতরের কলকব্জা সিগারেটের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন৷ কারণ, সলমন প্রচুর সিগারেট টানেন সারাদিনে৷ তবে ডাক্তারদের বলাই সার, ‘সিগারেট এখনই ছাড়তে পারছিনা' বলে দিয়েছেন নায়ক সাল্লুভাই৷
সাল্লুভাই অবশ্যি বলিউডে একা নন৷ রূপোলি পর্দার অন্যান্য খানেদের সকলেরই হাল ওই একরকমই৷ সুপারস্টার শাহরুখ খান সিগারেটের মস্ত বড়ো দাস৷ আমির খানেরও লাগে সারাক্ষণ সিগারেট৷ আর খানেদের দলের নতুন তারকা শর্মিলা পতৌদির সুপুত্র সেফ আলি খানেরও সবসময়ে লাগে সিগারেট৷ তা না হলে চলে না নায়কদের দিনরাত৷ সেফ আলি খান তো এই কদিন আগেই সিগারেট টেনে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ তারপরেও সেই দু আঙুলের জ্বলন্ত আগুনের কাঠিটি ছাড়তে পারেন নি সেফ৷
সব নায়ককেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সিগারেট ছাড়তে৷ কিন্তু পর্দায় যেসব কঠিন কাজ সহজেই নায়করা করে ফেলতে পারেন, বাস্তব জীবনে তো আর সেটা হয়না! অতএব সিগারেট আর খান এই দুটোই গলাগলি করে চলছে আপাতত৷
কারণ, দেখা যাচ্ছে যে খানেরা সবাই সিগারেট খান৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম