1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রায় প্রতি মাসেই সংকট’

নাওমি কনরাড/আরবি২১ জুন ২০১৪

সন্ত্রাস, হামলা, অপহরণ ইত্যাদি কারণে উন্নয়ন সাহায্যকর্মীদের পক্ষে বিভিন্ন দেশে কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে আফ্রিকার অনেক দেশে এই ধরনের সহিংসতা ঘটছে অহরহ৷

https://p.dw.com/p/1CN0w
Aleppo Bombe Hotel 08.05.2014
ছবি: Reuters

ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে

সিরিয়াতেও কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ সিরিয়ার অনেক শহর এত বিধ্বস্ত হয়েছে যে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷ ‘‘অনেক জায়গায় কেবল ধ্বংসাবশেষই দেখা যায়৷'' ২০১৩ সালের বাৎসরিক প্রতিবেদনে এই কথাই বলেন জার্মানির অন্যতম সাহায্য প্রতিষ্ঠান ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে'-র প্রেসিডেন্ট ব্যার্বেল ডিকমান৷ বিশ্বব্যাপী জরুরি সাহায্যে তৎপর প্রতিষ্ঠানটি৷

বিশ্বব্যাপী সমালোচিত সিরিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনও কোনো সুরাহা এনে দিতে পারবে না৷ সংকট সমাধানের কোনো লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না৷ ‘‘কেননা বিবদমান দলগুলি একেবারেই কাছাকাছি আসতে চাইছে না'', বলেন ডিকমান৷

গত বছর চরম মানবিক সংকটের মধ্যে কাটাতে হয়েছে সিরিয়ার মানুষকে৷ ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' নামক এই জার্মান এনজিও-টির মোবাইল সাহায্য টিমকে প্রায় সবসময় সাহায্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে৷ ‘‘প্রায় প্রতিমাসেই সংকট লেগে ছিল৷'' জানান সাহায্য প্রতিষ্ঠানটির জেনারাল সেক্রেটারি ভল্ফগাং ইয়ামান৷

উন্নয়ন পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে

এইসব সংকটের কারণে সংস্থাটির পক্ষে স্থায়ীভাবে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ সাহায্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কর্মী পাওয়াও মুস্কিল হচ্ছে৷ অনেক এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ উন্নয়ন সাহায্য কর্মীরা অপহরণ ও হামলার শিকার হচ্ছেন৷ বিশেষ করে সাহারার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলিতে কাজ করা বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে৷ সারা অঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে যুদ্ধংদেহী অবস্থা৷ নানা ধরনের চরমপন্থার বিস্তৃতি ঘটছে৷ এভাবেই বলেন ইয়ামান৷

এছাড়া লেবাননের অনেক প্রাক্তন সেনা ও বেতনভোগী যোদ্ধা আল-কায়েদা ও অন্যান্য চরমপন্থি গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন৷ এই ধরনের পরিবেশে দুঃস্থ মানুষদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দক্ষিণ সুদানের কথা৷

বাড়িঘর ছাড়া হচ্ছেন বহু মানুষ

‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে' জানিয়েছে, দেশটিতে ক্রমাগত সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন৷ কোনো কোনো অঞ্চলে আবার শুধু হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সাহায্য সামগ্রী নিক্ষেপ করতে হয়, জানান ডিকমান৷

পাকা রাস্তার অভাবে কাজ করতে আরো অসুবিধা হয় বর্ষাকালে৷ ডিকমান আশঙ্কা করেন, এইভাবে যুদ্ধ চলতে থাকলে চাষিরা কৃষিখেতে কাজ করতে পারবেন না৷ এরফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে৷ এ কারণে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আফ্রিকা ইউনিয়নের প্রতি সংঘর্ষ বন্ধ করার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানান৷ তাঁর মতে, এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে সবারই আগ্রহ থাকা উচিত৷ এই ধরনের সহিংসতা গোটা অঞ্চলে তো বটেই অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ যেমন হঠাৎ করে হামলা ঘটলো কেনিয়ায়৷

জরুরি সাহায্য প্রকল্প

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিদেশ দপ্তরের মতো বিভিন্ন ইন্সটিটিউশন এবং ব্যক্তিগত চাঁদার অর্থে চলে ‘ভেল্টহুঙারহিল্ফে'-র কাজকর্ম৷ গত বছর সব মিলিয়ে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো বিদেশের প্রকল্পগুলির কাজে ব্যয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷ জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হয়েছে দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ফিলিপাইন্সে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য