1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাহায্য ছাড়া অর্থ সংকটে পড়বে যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

১৩ আগস্ট ২০১১

আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেনা কমে গেলে হয়তো দশটিতে আর্থিক সাহায্যও তেমনভাবে আর আসবে না৷

https://p.dw.com/p/12Fyg
২০১৪ সালের পর আফগানিস্তান শুধুই একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবেছবি: picture-alliance/dpa

মাজার-ই-শরিফকে আফগানিস্তানের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে গণ্য করা হয়৷ তালেবান জঙ্গিদের উৎপাত এখানে একেবারেই নেই৷ আর তাই, মাজার-ই-শরিফে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি পুঁজি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী৷ স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা করা কথা ভাবছেন এই শহরে৷ সীমান্তে রয়েছে উজবেকিস্তান৷ ট্রেন চালাচল শুরু হবে দুটি দেশের মধ্যে শীঘ্র৷ যাত্রীর পাশাপাশি মালপত্রের চালানও নিয়মিত করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷

এদিকে, যুদ্ধ-বিগ্রহের পরও মাজার-ই-শরিফ বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে৷ এই শহরেই জার্মান সেনারা আফগান সেনার হাতে নিজ দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে৷

মাজার-ই-শরিফে এ ধরণের ইতিবাচক ঘটনা ঘটলেও, বাকি দেশের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন৷ প্রতি দু'জন আফগানের মধ্যে একজন বেকার৷ দেশটি এতো দরিদ্র যে বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া একদিনও চলা সম্ভব নয়৷ বিশ্ব ব্যাংক একটি জরিপে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অর্থনীতির প্রায় ৯১ শতাংশ বৈদেশিক সাহায্যের সঙ্গে জড়িত৷

Flash-Galerie Tanklastwagen Kundus Georg Klein
যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি ভবিষ্যতে উঠে দাঁড়াতে পারবেতো!ছবি: AP

২০০১ সাল থেকে অ্যামেরিকা একাই এ পর্যন্ত ১৯ বিলিয়ন ইউরো সাহায্য দিয়েছে আফগানিস্তানকে৷ আর সাধারণ মানুষদের সাহায্যে এসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার৷ ইরাকেও এতো অর্থ সাহায্য পাঠানো হয়নি৷ দুই বিলিয়ন ইউরো দিয়ে জার্মানি রয়েছে তৃতীয় স্থানে৷

তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক সাহায্য কমে আসবে৷ আফগানিস্তান বিশ্লেষক থোমাস রুটিশ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা বেশ পরিষ্কারভাবেই শুনেছি ২০১৪ সালের মধ্যে ইউরোপীয়সহ পশ্চিমা বিশ্বের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে৷ সেনারা চলে যাবে সেই সঙ্গে বিশাল অঙ্কের অর্থও৷ আমার আশঙ্কা হল, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানকে শুধুই তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে৷ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশকে যেভাবে এবং যতোটুকু সাহায্য করা হয়, এর বেশি আফগানিস্তান পাবে না৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘দুর্নীতির কারণে অর্থ নষ্ট করা হয়েছে৷ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি৷ রাজনৈতিক দলগুলো বেশ ভাল করেই জানে কার হাতে টাকা আছে৷ কীভাবে এবং কোন পথে টাকা আসছে৷ তাই তারাও সারাক্ষণ কাবুলের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছে৷''

বলা প্রয়োজন, ট্রান্সপারেন্সি ইনডেক্সের ব়্যাংকিং-এ ২০১০ সালে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে উঠে এসেছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ