সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া গেছে
১৩ মে ২০১৫নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দু'মাস পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদেকে পাওয়া গেছে৷ পাসপোর্ট এবং অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে৷ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে৷ মেঘালয় থেকে সালাহ উদ্দিনের ফোন পেয়ে প্রথমে খবরটি সংবাদমাধ্যমকে জানান তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ৷ টুইটারে অনেকেই বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন৷
জানা গেছে, অংসলগ্ন আচরণের কারণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দীন আহমেদকে প্রথমে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, তবে পরে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ ৫৪ বছর বয়সি বিএনপি নেতা দাবি করেছেন, গত ১০ মার্চ অচেনা কয়েকজন লোক ঢাকার উত্তরা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়, তারপর থেকে তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না৷ শিলংয়ে কীভাবে গেলেন তা-ও তিনি বলতে বলতে পারছেন না৷
সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তাঁর স্ত্রী সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘সরকারের সহযোগিতা সবসময় কামনা করছি৷ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়৷ আমার স্বামীকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় দেশবাসীসহ সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি৷''
টুইটারে কয়েকজন সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি এবং বিএনপি সমর্থকদের কয়েকদিন আগের বক্তব্যও স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি৷ বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার নিখোঁজ হওয়ার জন্য সরকারই দায়ী৷ তিনি বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হতে পারেন – এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন অনেকে৷ কিন্তু অবশেষে সালাহ উদ্দিনকে ভারতের মেঘালয়ে অক্ষত অবস্থায় খুঁজে পাওয়ায় পুরো বিষয়টিতে বিএনপির ‘নোংরা রাজনীতি'-ও খুঁজে পেয়েছেন একজন৷
গত ১০ মে-ও কেউ কেউ সালাহ উদ্দিন আহমেদ আরেক বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মতো লাপাত্তাই থাকবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন৷
দু'দিন পরই রহস্যজনকভাবে খুঁজে পাওয়া গেল তাঁকে৷ বিএনপি অবশ্য কয়েকদিন আগে এ কথাও বলেছে যে, তারা আশা করে শিগগিরই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া যাবে৷
যে কোনো ব্যক্তির নিখোঁজ হয়ে যাওয়াই ভীষণ শঙ্কার কথা৷ বাংলাদেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে পাওয়া নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক খবর৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ