সাম্যবাদেও জাতি বিদ্বেষ?
২৪ নভেম্বর ২০১০ওল্ড টেস্টামেন্টে উল্লেখিত, বাবেল থেকে মানুষ ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা জনপদে৷ তখন ধর্ম,বর্ণ, কিছু ছিলনা৷ কেবল ছিল মানবজাতি৷ কমুনিজমের গুরু কার্ল মার্ক্সও মানবজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন৷ মার্ক্সের বহু আগেই বাংলার কবি চন্ডীদাস বলেছেন, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই৷
সমাজতন্ত্রের দেশগুলোয় মানুষকে বিভাজন করা হয়নি জাতিধর্মেবর্ণে, এরকম প্রচারণা ছিল সরব৷আদতে তা নয়৷ বরং উল্টোটাই প্রকাশিত এখন৷ দুই জার্মানির পুনর্মিলনের এক বছরও পার হয়নি, দেখা গেছে সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির কিছু অংশে মানুষ নাৎসিবাদে বলীয়ান৷ বার্লিনের পূর্বাঞ্চলে নব্যনাৎসিদের শক্ত ঘাঁটিও বহাল৷ কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানিতে অ্যান্টি-সেমিটিজম, বা, চলতি কথায়, ইহুদিবিদ্বেষ যে কতটা ছিল, আমাদেউ আন্টোনিও ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়৷প্রদর্শনী বার্লিনে৷প্রদর্শনীর দলিলে, চিত্রে, চিঠিতে, নথিপত্রে বিদেশি বিদ্বেষ, ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনাবলি প্রকাশিত৷
ফাউন্ডেশনের পরিচালক বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানিতে ইহুদি বিরোধিতা মুছে যায়নি৷ হিটলারের চেতনা মনে মনে পুষেছেন অনেকেই৷ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আনেটা কান্ বলেন, কমিউনিস্টরা দোষারোপ করেছে, ইহুদিরা ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে শেয়ারবাজার, অর্থ কব্জা করতে চেয়েছে৷ উপরন্তু, কমুনিজমের চিরশত্রু আমেরিকার পয়লা বান্ধব৷ অতএব, আমাদেরও দুশমন৷ ঘরের শত্রু বিভীষণ৷ ১৯৫৩ সালে পূর্ব জার্মানির কমুনিস্ট নেতারা অ্যাকশন রোজ নামে অপারেশন চালিয়ে ইহুদিদের হোটেল ব্যাবসা থেকে শুরু করে, বড়ো-বড়ো ব্যাবসা, বাড়িঘর , জমিজমা, কলকারখানা দখল করে নেয় রাষ্ট্রের সম্পত্তি বলে৷ এই অজুহাতের যারা বিরোধিতা করেছে, মূলত ইহুদিরাই করেছে,তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে কমুনিজমের শত্রুর তকমা দিয়ে৷ বলেন আনেটা কান্,পশ্চিমের জানালায়, সাক্ষাৎকারে৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক