সাবধান! ক্লিক করবেন না কামসূত্রে
১৬ জানুয়ারি ২০১১কম্পিউটার সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা সফোস জানাচ্ছে, কামসূত্রের এসব যৌনাসনের সঙ্গেই রয়েছে একটি ট্রোজান৷ এটির নাম ট্রোজ/বেকডর্-আরএফএম৷ কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি যৌনাসনের পাওয়ারপয়েন্ট ফাইলের উপর ক্লিক করেন, তাহলেই সক্রিয় হবে ট্রোজান৷ এরপর ব্যবহারকারীর কম্পিউটারটির নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কোন এক হ্যাকারের দখলে৷
বলে বসতে পারেন, হ্যাকারের কাছে নিয়ন্ত্রণ কিভাবে যাবে? ইন্টারনেটের যুগে বিষয়টি একেবারেরই সোজা৷ কেননা, অনলাইন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বর্তমানে যেকোন জায়গায় বসেই যেকারো কম্পিউটারে প্রবেশ করা সম্ভব৷
এবার ভাবুন, হ্যাকার আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে কি করতে পারে? শুরুতেই যা সম্ভব তা হল, আপনার সব গোপন ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি৷ তারপর ই-মেল, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড চুরি৷ বাকিটা মাস শেষে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসেবই বলে দেবে৷
তাই সাবধান৷ অতিউৎসাহী হয়ে এধরনের কামসূত্রের যৌনাসন দেখতে যাবেননা৷ ই-মেইল বা অন্য কোন লিংকে পাওয়া ‘রিয়েল কামসূত্র ডটপিপিএস ডটিইএক্সই' পাওয়ারপয়েন্ট ডিলিট করুন এখনই৷ সম্ভব হলে, অন্যদেরকেও এই বিষয়ে সতর্ক করুন৷
বলাবাহুল্য, কম্পিউটারে কামসূত্র ভাইরাস এর আগেও আঘাত হেনেছিল৷ ২০০৬ সালে কয়েক লাখ কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস৷ ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০০৬ সালের সেই ভাইরাস এবার এসেছে নতুন রূপে, আরো সক্রিয়ভাবে৷ কোন কম্পিউটারে একবার এই ভাইরাস বাসা বাধঁলে তাকে দূর করা বেশ কঠিন৷
উল্লেখ্য, কম্পিউটারকে ভাইরাস বা ক্ষতিকারক সফটওয়্যারমুক্ত রাখতে বর্তমানে ইন্টারনেটেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস৷ তাই, সম্ভব হলে কিনে ফেলুন একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার৷ আর তা নাহলে, ব্যবহার করতে পারেন ম্যাকাফি কিংবা নর্টনের মতো অ্যান্টি-ভাইরাসগুলোর পরীক্ষামূলক সংস্করণ৷ ইন্টারনেটে এগুলো পাবেন বিনামূল্যে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়