কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা
১৮ এপ্রিল ২০১৭মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পর জাপানে এসেছেন৷ এই দুই দেশের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের দায়বদ্ধতার কথা বলেছেন তিনি৷ উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বাড়াতে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ পেন্স বলেছেন, প্রয়োজনে কোনো পদক্ষেপ থেকেই অ্যামেরিকা বিরত থাকবে না৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রতি ‘কৌশলগত ধৈর্য' শেষ হয়ে গেছে৷ তবে তাঁর প্রশাসন চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে৷
এই অবস্থায় তর্জন-গর্জন আরও বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ যে কোনো সময়ে সে দেশ ষষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়োল আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হুমকি দিয়ে বলেছেন, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বাৎসরিক পরীক্ষা চালানো হতে পারে৷ তিনি আরও বলেন, তাঁর দেশ আক্রান্ত হলে পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু করে দেবে৷ জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত সপ্তাহান্তে বলেছেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু হামলা চালানো হলে তাঁর দেশ পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত৷
ঠিক এমন পরিস্থিতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় ভুগছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান৷ যুদ্ধ হলে সবার আগে তারাই আক্রান্ত হবে বলে তাদের আশঙ্কা৷ নির্বাচনি প্রচারের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, জাপানকে তার নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যয় বহন করতে হবে৷ টোকিও সফরে এসে ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স অবশ্য দুই দেশের নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন৷ তাতে আশ্বস্ত হলেও ওয়াশিংটন যেভাবে উত্তর কোরিয়ার উপর সামরিক স্তরে চাপ বাড়াচ্ছে, সেটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ অ্যামেরিকা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আঞ্চলিক সংঘাত অনিবার্য বলে জাপান মনে করে৷ তার চেয়ে চীনের উপর চাপ বাড়িয়ে উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করার প্রচেষ্টা আরও কার্যকর হবে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স,)