সাওন দত্তের ‘কসা মাংস'!
২৩ আগস্ট ২০১৬তাও আবার প্রেসার কুকারে৷ সাওন দত্তর বয়স আজ ৪৫৷ স্থাপত্য নিয়ে পড়াশুনো করেছেন, স্থপতি হিসেবে কয়েক বছর কাজও করেছেন৷ কিন্তু মন ছিল চিরকালই গানের দিকে, সংগীতের দিকে৷ পিয়ানো, কিবোর্ড, হাওয়াইয়ান গিটার বাজান, এককালে দ্য ইন্ডিয়ান ওশান-এর মতো ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন৷
থাকেন মুম্বইতে৷ কিছুদিন রেকর্ডিং কোম্পানিগুলির সঙ্গে কাজ করার পর নিজের ভিডিও সং ব্লগ শুরু করেছেন, যা-তে পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে নিজের পছন্দ মতো মিউজিক সৃষ্টি করতে পারেন৷ সেই ব্লগ – বা ভ্লগ – যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ রকম সাফল্য পাবে, তা তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি, বলেছেন সাওন৷
আইডিয়াটা সহজ৷ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল-এর মতো সুরে, নিজে পিয়ানো বাজিয়ে, নিজের আইফোনে ভিডিও তুলে, তা পোস্ট করা৷ কিন্তু বিষয়বস্তু হলো বাঙালিত্ব, নিজের তথা জাতির৷ প্রেরণা হলো নস্টালজিয়া বা স্মৃতিমেদুরতা, একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন সাওন৷ কিছু সার্বজনীন বাঙালি বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ নিয়ে গান লেখেন তিনি, বাঙালিকে হাস্যকর করার জন্য নয়, বাঙালিত্বকে সেলিব্রেট করার জন্য৷
তাই কসা মাংস৷ গান ও মন্তব্য সবই ইংরেজিতে, কখনো পাক্কা ইংরেজি আক্সেন্টে, কখনো বাঙালি উচ্চারণে৷ প্রেসার কুকারে কসা মাংস রাঁধার রেসিপিতে কিন্তু কোনো ফাঁক নেই, চাইলে সাওনের গান শুনেই রেঁধে ফেলতে পারবেন! কাজেই ‘কসা মাংস'-কে এক হিসেবে রান্নার ভিডিও বলা চলতে পারে – ক্রসওভার আর কাকে বলে!
কথায় বলে যে রাঁধে, সে কি চুল বাঁধে না? সাওন দত্তর ক্ষেত্রে সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে রাঁধে, সে কি গান বাঁধে না? গানটা ইউটিউবে চেখে দেখতে পারবেন, শুধু কসা মাংসটা নিজেকে রেঁধে নিতে হবে...
এসি/ডিজি
বন্ধুরা, ভিডিওটি দেখলেন? কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷