সাইবার যুদ্ধ
২৫ মে ২০১৩এবার আরেকটি ঘটনার কথা বলি৷ ২০০৭ সালে সিরিয়ার একটি পরমাণু চুল্লিতে ইসরায়েলের জঙ্গি বিমান হামলা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এই হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল নাকি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছিল৷
এই দুটি ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, আধুনিক যুদ্ধের নতুন এক অস্ত্র হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট৷ তাই এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশগুলো৷ এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র৷ ইসরায়েলও যে বেশ ভাল করছে তাতো বোঝাই গেল সিরিয়ার কাহিনি থেকে৷ এছাড়া শুরুতে যে স্টাক্সনেটের কথা বলা হলো সেটাও যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলের তৈরি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷
জার্মানি এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে কেনো? তাইতো প্রায় এক বছর ধরে গোপনে ৬০ জন বিশেষজ্ঞকে সাইবার যুদ্ধ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জার্মান সামরিক বাহিনী৷ এতোদিন এই খবরটা গোপন রাখলেও সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিককে ঐ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মোবাইল ফোন, লেপটপ, রেকর্ডিং এর যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা কিছুই নিয়ে যেতে দেয়া হয়নি৷
কেন্দ্রটির অবস্থান বন শহর থেকে একটু দূরে রাইনবাখ নামক স্থানে৷ বিশেষ এই ইউনিটের নাম দেয়া হয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেশন বা সিএনও৷ এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শত্রুকে মোকাবিলা করতে সামরিক বাহিনীকে গড়ে তোলা৷
অবশ্য সামরিক বাহিনী ছাড়া এ ধরণের হামলা প্রতিহত করতে জার্মানির একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা রয়েছে, যার নাম ‘জার্মান ফেডারেল অফিস ফর ইনফরমেশন সিকিউরিটি৷'
জেডএইচ / এসবি (ডিপিএ)